রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন
মৃত চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যবহার করে প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করায় বরিশালের এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুই মালিককে ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। পাশাপাশি নামের শেষে ভূয়া পদবী ব্যবহার করায় এক চিকিৎসককেও সেই অভিযানে ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে এবং ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিও সীল গালা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বুধবার রাত ৮টার দিকে নগরীর জর্ডন রোড এলাকার দি সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই অভিযান চালানো হয়।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো- সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এর চিকিৎসক নূর এ সরোয়ার সৈকত, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এ কে চৌধুরী ও জসীম উদ্দিন মিলন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মুবিনুল হক মুবিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর জর্ডন রোড এলাকায় সেন্ট্রাল মেডিকেল সার্ভিসেস এ র্যাব সদস্যদের নিয়ে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায় ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মৃত চিকিৎসক গাজী আমানুল্লাহ খান এর বুধবারে (২২ জুলাই) স্বাক্ষরিত একটি প্যাথলজি রিপোর্ট প্রদান করা হয় খাদিজা নামের এক রোগীকে। কিন্তু ওই চিকিৎসক গত ১৯ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনি তিন মাস ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এছাড়া প্যাথলজির সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন জায়গায় করোনায় মৃত্যুবরণ করা চিকিৎসক ইমদাদ উল হকের নাম ব্যবহার করা হচ্ছিলো। একই সাথে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নূর এ সরোয়ার সৈকত নামে একজন চিকিৎসক পাওয়া যায়। যিনি রোগীকে দেয়া ব্যবস্থাপত্রে নামের শেষে বেশ কিছু ভূয়া ডিগ্রি উল্লেখ করেন এবং শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের নাম ব্যবহার করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক এ কে চৌধুরী, জসীম উদ্দিন মিলন এবং ভূয়া ডিগ্রিধারী চিকিৎসক নূর এ সরোয়ার সৈকতকে ৬ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয় এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সীল গালা করে দেয়া হয় বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।