শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
বরিশাল বিভাগে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল জেলা। যেখানে বিভাগটির ছয় জেলায় মোট দুই হাজার ৩৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে শুধু বরিশাল জেলাতেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৩৯ জন। আর যেখানে বিভাগের ছয় জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের সেখানে শুধু বরিশাল জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে সব থেকে বেশি করোনায় আক্রান্ত রোগী স্মরণাপন্ন হয়েছেন। আবার মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এ হাসপাতালে ৮১ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে এ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৩১ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ।
শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ৫৫ জন রোগী ও আইসোলেশন (অবজারভেশন) ওয়ার্ডে ৫৭ জনসহ মোট ১১২ জন রোগী চিকিৎসাধীন। আর গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এক জন এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ওয়ার্ডে কারো মৃত্যু না হলেও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে করোনা ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ২০৭ জন পজিটিভ এবং আইসোলেশন (অবজারভেশন) ওয়ার্ডে ৩৬৩ জনসহ মোট ৫৭০ জন রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। আর ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ৫১৪ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যারমধ্যে ২১৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহের আগে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন দুই জন রোগী।
এদিকে সুস্থ হয়ে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ড থেকে ১২৯ জন ও আইসোলেশন (অবজারভেশন) ওয়ার্ড থেকে ২১৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এ পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য করোনা ওয়ার্ড থেকে সাত জন ও আইসোলেশন (অবজারভেশন) ওয়ার্ড থেকে ২৪ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে।
অপরদিকে মৃত্যুর হিসেবে গত ২৯ মার্চ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে মোট ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা পজিটিভ ৩১ ও উপসর্গ নিয়ে ৪১ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়া বাকি নয় জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনো হাতে পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে শেবাচিম হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১৩৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৩ জন নার্স, ৩৬ জন স্টাফ ও ১৫ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
হাসপাতালে রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন।