শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের ১৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শনিবার (২৫ এপ্রিল)। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে এ বছর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ অনাড়ম্বরভাবে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই দিবসটি পালন করবে।
চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের আমদানি ও রফতানির ৯২ শতাংশেরও বেশি পণ্য এবং ৯৮ শতাংশ কনটেইনারজাত পণ্য হ্যান্ডলিং করে থাকে। ২০১৯ সালে এ বন্দর ৩১ লক্ষাধিক কনটেইনার হ্যান্ডেল করেছে এবং ২০১৯ সালে চট্টগ্রাম বন্দর যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংস্থা লয়েড লিস্ট রেজিস্টারের তালিকায় বিশ্বের ৬৪তম ব্যস্ত কনটেইনার বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এ অর্জন বর্তমান সরকারের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন। জাতীয় অর্থনীতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বন্দর পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে বন্দর কর্তৃপক্ষ বদ্ধপরিকর। তাছাড়া একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বন্দরের আধুনিকায়ন, যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণ ও নিউমুরিং ওভার ফ্লো ইয়ার্ড নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দর এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শ্রমিকগণ দেশের সাপ্লাই চেন নির্বিঘ্ন রাখার স্বার্থে ‘২৪ ঘণ্টা ৭ দিন’ কাজ করে যাচ্ছেন। আমদানি পণ্য ডেলিভারি সীমিত হওয়ার কারণে বন্দরে সাময়িক কনটেইনার জট ও জাহাজ জট সৃষ্টি হয়েছে।
নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আমদানি কনটেইনার অফডকে প্রেরণের সিদ্ধান্ত বন্দরকে আবার সচল করেছে। আমদানিকারকরা দ্রুততম সময়ে তাদের আমদানি পণ্য খালাসের মাধ্যমে বন্দরকে করোনাভাইরাসের এ পরিস্থিতিতেও সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন। এর ফলে বহির্বিশ্বে দেশের ও চট্টগ্রাম বন্দরের ভাবমূর্তি উজ্বল হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বন্দরকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সর্বাত্মক সহায়তার জন্য বন্দরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, বার্থ অপারেটর, টার্মিনাল অপারেটর, শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, বিকডা, শিপিং এজেন্ট, শ্রমিক, বন্দর ব্যবহারকারী ও স্টেকহোল্ডারদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।