শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
গৌরনদীতে চোর সন্ধেহে গনপিটুনিতে আহত যুবকের দুইদিন পর মৃত্যু কুয়াকাটায় আগুনে পোঁড়া বন পরিদর্শন কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাউফলে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন বছরের প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন দীপ অঞ্চলে সহকারী পুলিশ সুপার বাউফলে গাঁজাসহ ২৫ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার নববর্ষে দেশীয় খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা
সেনাবাহিনীর মানবিকতায় মায়ের কোলে ফিরলো ৫ শিশু

সেনাবাহিনীর মানবিকতায় মায়ের কোলে ফিরলো ৫ শিশু

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: রাঙামাটির দুর্গম পল্লী থেকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হাম ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৫ শিশু সুস্থ হয়ে মা-বাবার কোলে ফিরেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম সেনানিবাসের ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সর্বাত্মক সহযোগিতা ও নিবিড় তত্ত্বাবধানে ১৮ দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় তারা ছাড়া পায়।

তারা হলো- প্রতিল ত্রিপুরা (০৫), রোকেন্দ্র ত্রিপুরা (০৬), নহেন্দ্র ত্রিপুরা (১০), রোকেদ্র ত্রিপুরা (০৮), ও দীপায়ন ত্রিপুরা (১৩)। সবাই একই পরিবারের সদস্য।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস ধরে রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রামে হাম ও নিউমোনিয়ার লক্ষণ নিয়ে বেশ কিছু শিশু আক্রান্ত হয়। মারা যায় ৮ জন শিশু।

সংবাদ পাওয়া মাত্রই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আক্রান্ত এলাকার জনসাধারণের জন্য বরাবরের মতই বাড়িয়ে দেয় তাদের সাহায্যের হাত।

এর প্রেক্ষিতে, গত ২৪ মার্চ সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ জন ডাক্তারসহ ৮ সদস্যের এক বিশেষ চিকিৎসক দল হেলিকপ্টারযোগে উক্ত এলাকায় পৌঁছান।

তাদের লক্ষ্য ছিলো, ২ দিনে এই শতাধিক রোগীর চিকিৎসা করা। কিন্তু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিয়ালদহ পাড়ার ৫ শিশুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে তাদের প্রথমে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে আনা হয় এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৮ দিন তাদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয় এবং বর্তমানে তারা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। আক্রান্তদের পরিবারের মাধ্যমে জানা গেছে, দুঃস্থ পরিবারের এ শিশুদের চিকিৎসাধীন সময়ে সরকারি বরাদ্দের বাইরে অন্য সব আনুষঙ্গিক খরচ সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশন বহন করে।

২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান বলেন, আমরা সব সময় পাহাড়িদের পাশে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। এর আগেও আমরা এরকম কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার কার্পণ্য করা হবে না।

সেনাবাহিনীর এ মহানুভবতায় আক্রান্ত শিশুদের পিতা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সেনাবাহিনী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিলে আমাদের পক্ষে শিশুদের জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো না। আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই অবদান সারা জীবন মনে রাখবো।

‘সেই সঙ্গে কৃতজ্ঞতা ভরে স্মরণ করছি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কবির এবং চিকিৎসকদের প্রতি, যাদের অদম্য প্রচেষ্টায় আমার সন্তানেরা আজ নতুন জীবন ফিরে পেল।’

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD