শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
বরিশালে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত বিশ্ব ও দেশব্যাপি আতঙ্কিত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য ঘড় থেকে বের না হবার জন্য অঘোষিত লক ডাউন ঘোষনা করা হলেও কিছু সংক্ষক দিন-মজুর রিক্সাচালকদের ও সাধারন মানুষকে পুরোপুরি ঘড়ের ভিতর আটকে রাখা সম্ভব হয়নি।
শহরের অভ্যন্তরীন বিভিন্নস্থানে সেনাবাহিনীর টহল থাকা সত্বেও সাধারন পথচারীরা নিরাপদ থাকার বিষয়টি মাথায় নিচ্ছে না। তারা প্রকাশ্য এখনো চলাচল করছে।
প্রতিদিনের ন্যায় বরিশাল জেলা বাসদের পক্ষ থেকে সাধারন মানুষ ও পথচারীদের মাঝে হ্যান্ড ওয়াস ব্লিচিং পাউডারের পানির বোতল সরবরাহের পাশাপাশি সড়কে চলাচলকৃত রিক্সা মোটর সাইকেলে জীবাণুনাশক স্প্রে দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে তারা।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন, সিভিল প্রশাশন, পুলিশ প্রশাসন বেশ কিছুদিন যাবত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকার জন্য কঠোরভাবে নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রচার প্রচারনার কাজ করার সাথে সাথে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের মূল্য মনিটরিং করে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে ১১টা পর্যন্ত নগরীর ব্যস্ততম সড়ক সদররোড, গ্রিজ্জামহলল্লা,চকবাজার,ফজলুল হক এ্যাভিনিউ সড়কে জন শুণ্যতা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে অনেক মানুষ বাসাবাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বের হয়ে আসে। এছাড়া নগরীর রেস্তোরা, খাবার হোটেল বন্ধ থাকার কারনে অর্থহীন সাধারন মানুষ শহরে রিক্সা নিয়ে বের হলেও কিনে খাবার জন্য কোন খাবার পাওয়ায় দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে নগরীর সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সড়কে যানবাহন ও নৌ পথে অভ্যন্তরীনসহ ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ফকিরবাড়ি সড়কস্থ জেলা বাসদ আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হাবীব রুমন ও সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী দলীয় কর্মীদের নিয়ে টাউন হল চত্বরে বসে পথচারী সহ সর্বস্থরের মানুষের মাঝে জীবাণুমুক্ত হ্যান্ড ওয়াস ও পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্লিচিং পাউডারের বোতলজাত পাণি সরবরাহ করাসহ চলাচলরত মোটর সাইকেল, রিক্সা ও পথচারীদেরকে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে দেখা যায়।
এদিকে সরকার কর্তৃক অঘোষিত লক ডাউনের ফলে নিত্যদিনের আয়ের মানুষের সংসারে প্রথম দিনে দেখা দিয়েছে খাবারের হাহাকার। নগরীর পলাশপুর, রসুলপুর, কেডিসি কলোনী স্টেডিয়াম কলোনীসহ বিভিন্ন বস্তি এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষের সংসারে দেখা দিয়েছে খাবারের সংকট। নগরীর বিভিন্নস্থানের সাধারন মানুষের মাঝে শুধু একটাই কথা শোনা গেছে ছোট ছোট সন্তানদের কান্নাকাটি আর না খেয়ে থাকার চেয়ে এমনিতে মৃত্যু ভাল বলে তারা মনে করেন।
এব্যাপারে জেলা বাসদ সদস্য সচিব ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী বলেন, শুধু সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিরা নয় প্রশাসনিকভাবে কলোনী এলাকা সহ দৈনিক আয়ের মধ্যবিত পরিবারের মাঝে রেশনিং পদ্ধতিতে দ্রুত খাদ্য সরবরাহ করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে বিত্তবান ব্যাক্তিদের সহযোগীতার জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান।