শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:৩২ অপরাহ্ন
মুলাদীতে কুড়িয়ে পাওয়া আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে হাচান নামের ৮ বছরের এক শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে মুলাদী সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আতশবাজির উৎসবের পরিত্যক্ত আতশবাজি অপসারণ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে আহত শিশুর পরিবার।
জানাগেছে, গত ১১ জানুয়ারি রাতে মুলাদী উপজেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালন শেষে রাতে মুলাদী সরকারি কলেজ মাঠে আতশবাজির উৎসব আয়োজন করে। ওই সময় অনেক আতশবাজি সম্পূর্ণ বিস্ফোরিত না হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় মাঠের মধ্যে পড়ে থাকে। গত ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে মুলাদী পৌর সদরের আশরাফ মল্লিকের ছেলে হাচান কলেজ মাঠের মধ্যে একটি আতশবাজি কুড়িয়ে পায়। পরে সে আগুন পোহানোর জন্য জ্বালানো আগুনের মধ্যে ধরলে মুহূর্তের মধ্যেই আতশবাজিটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং শিশু হাচানের ডান হাতের অধিকাংশ পুড়ে যায়। পাশে ব্যাডমিন্টন খেলতে থাকা খেলোয়াড়রা হাচানকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শিশু হাচান তার পিতার কাছে জানায়, মুলাদী কলেজ মাঠে সে একটি কাগজ কুড়িয়ে পায় এবং বাচ্চাদের জ্বালানো আগুনের মধ্যে পোড়ানোর জন্য সেটি ধরতেই বিস্ফোরিত হয়। এব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান, উপজেলা প্রশাসনের আতশবাজির উৎসবে পরিত্যক্ত আতশবাজিগুলো ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন। কোনো অবস্থাতেই পরিত্যক্ত আতশবাজি থাকতে পারে না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।