বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
শীতকালীন সবজি ব্রকলি চাষ করে সফল মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার হাজরাতলা গ্রামের কৃষক রতন বিশ্বাস। পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ ব্রকলির বাজারে ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি শাক-সবজিরও আবাদ করেছেন। অল্প খরচে বেশি লাভের আশায় এবারই প্রথম ব্রকলির চাষ করেছেন কৃষক রতন।
কৃষক রতন বিশ্বাস বলেন, গত বছর আমার বড় মেয়ে ভারতের হুগলি জেলা থেকে এ ব্রকলির বীজ নিয়ে এসেছিল। সে বছর আমি পাঁচ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছি। খরচ হয়েছিলো পাঁচ হাজার টাকা। তখন ফলনও ভালো হয়েছিলো। এ বছর আবারও ১০ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষ করেছি। ফলন যা হয়েছে তাতে আশা করছি প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার ব্রকলি বিক্রি করতে পারবো। মাগুরার বিভিন্ন বাজারে ব্রকলির বেশ চাহিদা রয়েছে। আকার ভেদে বাজারে প্রতি পিস ব্রকলি ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়।
একই গ্রামের সবজি চাষি দেব্রত বিশ্বাস বলেন, মাগুরায় ব্রকলির ব্যাপক চাহিদা। বাজারে ব্রকলির দাম বেশি হওয়ায় আমি এ বছর পাঁচ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। আমার দেখাদেখিতে গ্রামের অনেক কৃষক ব্রকলি চাষে করেছেন। আগামী বছর এ সবজির আবাদ আরও বাড়বে বলেও তিনি আশা করেন।
হাজরাতলা গ্রামের অপর কৃষক জয়পদ বিশ্বাস বলেন, শ্রীপুর উপজেলায় বহু কৃষক শীতকালীন সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। অল্প খরচে লাভ বেশি তাই কৃষকরা সবজি সবজি চাষ করেন।
ব্রকলি চাষে লাভ বেশি। তাই দিন দিন মাগুরায় ব্রকলির চাষ বাড়ছে বলেও জানান কৃষক জয়পদ।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে এ জেলায় শীতকালীন ব্রকলি চাষ হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে। এ সবজি চাষে লাভ বেশি হাওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আগামী বছর ব্রকলি চাষ বেশি হবে বলেও আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর।
মাগুরা আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. জাহিদুল আমিন বলেন, প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে ব্রকলি চাষ হয়েছে। ব্রকলি একটা কপি জাতীয় ফসল। এ সবজি পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ।
তিনি বলেন, ব্রকলি চাষে বেশি লাভ হয়। ব্রকলি পুষ্টি সমৃদ্ধ সবজি তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি। এ সবজি চাষ কৃষকদের মধ্যে কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকিতে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। ক্ষেতের ভালো ফলন দেখে সফলতার হাসি ফুটছে কৃষকের মুখে বলেও জানান উপ-পরিচালক জাহিদুল।