শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর চলমান ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা চাইতে গিয়ে পানি সরবারহ শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আরাফাত হোসেন মনির কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে শ্রমিক নেতা ও ট্রেড লাইসেন্স ইন্সপেক্টর মোঃ আনিছুর রহমান।
ঘটনার পরই আশংকাজনক অবস্থায় অসুস্থ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী ইউনিয়ন এর সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে সি.সি.ইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমানের কক্ষে প্রকাশ্যে এ নির্য়াতনের ঘটনা ঘটে।
আহত সূত্রে জানা গেছে, বিসিসি’র ফান্ডে বর্তমানে ২৬ কোটি টাকা রয়েছে। দুই সপ্তাহ পূর্বে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিসিসি’র প্রশাসক (বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার) কাছে ওই টাকার মধ্য থেকে চলমান ও অবসরে যাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা বাবদ ১০ কোটি টাকা দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়। প্রশাসক তাদের আশ্বস্ত করেছিল।
শ্রমিক নেতা হিসেবে ঘটনার দিন ওই বিষয়টি অবগত করতে বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে যাই। কিন্ত বিসিসি’র পানি সরবারহ শাখার মোঃ আরাফাত হোসেন ইচ্ছাকৃতভাবে গিয়ে তর্কে জড়ায়।
একপর্যায় আমার সাথে হাতাহাতি করে। পূর্ব থেকেই আমি হৃদরোগে আক্রান্ত তা জেনেও মনির একপর্যায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। ফ্লোরে পরার পর আমার কিছু মনে নেই। চোখ খুলে দেখতে পাই আমি হাসপাতালের সি.সি.ইউ বিভাগে ভর্তি।
বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমানে বলেন, সাড়ে তিনটার সময় কাজ সেরে ভাত খেতে গেছে। এসে শুনি একটি ঘটনা ঘটে গেছে। পরে অসুস্থকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম।
অভিযুক্ত আরাফাত হোসেন মনির এর ব্যবহৃত মুঠোফোন ০১৭১১২৭৭৩৫২ নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ধরেনি। এমনকি তার ব্যহৃত ওই নম্বরে হোয়াস্অ্যাপে পরিচয় দিয়ে ঘটনার খুদে বার্তা দিলেও সাড়া দেয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসি’র একাধিক শ্রমিক জানায়, গত ৫ আগস্টের পর পানি সরবারহ শাখার মোঃ আরাফাত হোসেন মনির ক্যাডার স্টাইলের অফিসের দায়িত্ব পালন করছে।
তার ব্যহার সভ্য নয়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রহস্যজনকভাবে ম্যানেজ করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অসাদাচরণ করে আসছে। তারমধ্যে এই সংগঠনের কার্যক্রম চোখের বিষে রুপান্তিত হয়েছে।
এই মনির পানি সরবরাহ শাখায় কার্যক্রম হলেও বিসিসির অধিকাংশ দপ্তরে নাক গলায়। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে গোপনে আঁতাত করে মনগড়া কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। এক কথায় বিনএনপির নাম ভাঙিয়ে ৫ আগস্টের পর বিসিসিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করেছে।
বিষয়টি সম্পর্কে বৃহস্পতিবার বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল বারী জানান, বিষয়টি নিয়ে বিসিসি’র প্রশাসক (বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার) এর সাথে বসবো। স্যার অসুস্থ রয়েছে।