বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: মাদারীপুরে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে জিসান মাতুব্বর (১৮) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে ওই শিক্ষার্থী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি স্থানীয় মাদবরদের কাছে জানালে ভিকটিমের পরিবারকে দফায় দফায় হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত জিসান সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া এলাকার কিরণ মাতুব্বরের ছেলে। জিসানের বাবা কিরণ মাতুব্বর গ্রিস প্রবাসী। ঘটনার পর জিসান লিবিয়া হয়ে ইতালি যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে।
জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের কিরণ মাতুব্বরের বখাটে ছেলে জিসান প্রায় ছয় মাস আগে পঞ্চম শ্রেণির (১২) ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে একটি বাগানে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ভয়ে মেয়েটি পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন রাখে। সম্প্রতি ওই শিক্ষার্থীর পেটে ব্যথা করলে পরিবারের লোকজন একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে এ ঘটনাটি স্থানীয় মাদবরদের জানালে তারা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য দফায় দফায় ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার ন্যায্য বিচার পেতে প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীর চাচাতো ভাই বলেন, আমার চাচা (ভিকটিমের বাবা) একজন গরীব মানুষ। তিনি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। আমার চাচাতো বোনকে জিসান ভয় দেখিয়ে এই কাজটা করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ভয় দেখিয়ে জিসান ধর্ষণ করেছে। আমরা গরীব মানুষ, অন্য কোথাও আর মেয়েকে বিয়েও দিতে পারব না। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
অভিযুক্ত জিসানের ফুফু সাহিদা বেগম বলেন, ‘শুধু শুধু জিসানের বিরুদ্ধে দোষ চাপানো হচ্ছে। আমার ভাতিজা এখন লিবিয়ায় আছে। ও এমন কিছুই করেনি।
মাদারীপুর মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিসিন ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম রেজা বলেন, গত ২৮ আগস্ট ওই মেয়েটিকে পেটের ব্যথার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। আল্ট্রাসনোগ্রাফি করার পরে আমরা জানতে পারি মেয়েটি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি সহযোগিতা দেওয়া হবে।