মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
দিনে দুপুরে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হ/ত্যা/র চেষ্টা বাউফলে এক প্রসূতির জরায়ুর ভিতরে সিজারিয়ান কাচি পাওয়ার অভিযোগ ‘শীগ্রই কলাপাড়ায় যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থাপন করতে হবে’ বিচারপতি জেবিএম হাসান কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ কলাপাড়ায় বৌদ্ধবিহার গুলোতে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারনা পূর্ণিমা কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত ম/র/দে/হ উদ্ধার মহিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের টিন ও নগদ টাকা প্রদান
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সব আসামি আপিলে খালাস

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত সব আসামি আপিলে খালাস

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স:দুই যুগেরও বেশি সময় আগে বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারমাধ্যম চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদের ছোটভাই নুরুল ইসলাম রিফাত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- শামছু হাবিব বিদ্যুৎ, রুমান কার্জন, মানিক ও রাসেল কবীর।

বুধবার (১৭ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ (এসকে) মোর্শেদ।

২০১৪ সালের এ মামলায় এর আগেও একবার রায় দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আসামিদের যাবজ্জীবন দণ্ডদেশ দেন। পরবর্তীতে আসামিরা রিভিউ করলে মামলাটি ফের আপিল শুনানিতে আসে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তেজগাঁও কলেজের ছাত্র রিফাতকে ৩৭২ ডিওএইচএস মহাখালী বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আসামি শামছু হাবিব বিদ্যুৎ। পরদিন মহাখালীর জাহাদ হোটেলের পেছনে রেললাইনে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনার পরদিন রিফাতের আরেক বড় ভাই মো. ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ৮ আসামির বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৯৮ সালের ৭ জানুয়ারি ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৭ সালের ২১ জুন তৎকালীন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৮ আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

মামলার শুরু থেকেই মো. সেলিম খান নামের এক আসামি পলাতক থাকায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ৭ আসামি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০১০ সালের ১০ নভেম্বর বিচারপতি মুসা খালেদ ও বিচারপতি আজিজুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ আসামির সাজা বহাল ও তাইজুদ্দিন আহমেদ টিটু নামের এক আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করলে ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তৎকালীন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ পাঁচজনের সাজা বহাল রাখেন এবং ওমর ফারুক রাসেল নামের এক আসামিকে খালাস দেন।

আসামিদের রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD