রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ অপরাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্স: বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সেসঙ্গে খাল ও ড্রেন দিয়ে কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বরিশাল নগরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ঢুকে পড়ছে। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানির স্তরের তথ্য বার জোন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বিভাগের মধ্যে বরিশাল নগর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া বরিশালের পার্শবর্তী জেলা ঝালকাঠীর বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অপরদিকে আজ দিনের সর্বশেষ জোয়ারে ভোলা খেয়াঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর/পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অপরদিকে বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদীগুলোতে পানির স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তবে আজ এসব নদীর সঙ্গে সংযুক্ত দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, আসন্ন পূর্ণিমা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকালের তুলনায় আজকে সব নদীর পানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। প্রায় সব নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এদিকে মঙ্গলবার থেকে বরিশালসহ দক্ষিণের জেলাগুলোর বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে।
আকাশ কখনও মেঘলা থাকছে, কখনও বা রোদ উঠছে, তবে ঝড়ো বাতাস বয়ে চলছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।