শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময় বাউফলে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ স্কুল শিক্ষকসহ আহত-৩ মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ কলাপাড়ায় বৌদ্ধবিহার গুলোতে উদযাপিত হচ্ছে প্রবারনা পূর্ণিমা কুয়াকাটা সৈকত থেকে অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত ম/র/দে/হ উদ্ধার মহিপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিদের টিন ও নগদ টাকা প্রদান সাংবাদিকদের সাথে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় বাউফলে এক গৃহবধূর গর্ভে এক সঙ্গে পাঁচ নবজাতকের জন্ম পটুয়াখালীর গলাচিপায় র‍্যাবের বিশেষ অভিযানে ১২শ কেজী পলিথিন জব্দ,
উজিরপুরে কামারশালায় নেই চিরচেনা ব্যস্ততা

উজিরপুরে কামারশালায় নেই চিরচেনা ব্যস্ততা

Sharing is caring!

উজিরপুর প্রতিনিধি : করোনার প্রভাব পড়েছে বরিশালের উজিরপুর কামারশালা গুলোতে। কয়দিন পরেই মুসলিম উম্মাহের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব “ঈদুল আযহা” আর এ উৎসব কে সামনে রেখে দা,বটি,ছুরি-চাকু তৈরিতে এসময়টাতে কামারশালার কামারিরা ব্যস্ত সময় পার করার কথা।

এবার আর সেই চিরচেনা দৃশ্যটি চোখে পড়ছে না তেমনটি । করোনা মহামারির কারণে কঠোর লকডাউন হওয়ায় দা,বটি, ছুরি-চাকুর চাহিদা এবার আগের মতো তেমনটি নেই।করোনা পরিস্থিতিতে কোরবানীর পশু কেনা নিয়েই এবার কোন সাড়া নেই লোকজনের মাঝে। তাই কামারপাড়ায় দা-ছুরি তৈরি করানোর বাড়তি উচ্ছাসও চোখে পড়ছে না। এক রকম বেকারত্ব সময় পাড় করছেন কামারীরা। তাই তাদের চোখে-মুখে হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে। শোলক ইউনিয়ন সেনেহাট বাজারে গিয়ে কামার গৌতম কর্মকার এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান,এই পেশা আমার বাপ দাদার কাছ থেকে পেয়েছি।

প্রতি কোরবানির ঈদের এক মাস পূর্ব থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু তৈরি করে রাখা ছুরি-চাকু বিক্রি হচ্ছে না তেমন একটা। তারপরও এখনও আশায় বসে আছি। বসে থাকলে তো আর চলবে না। নতুন কামার উত্তম কর্মকার বলেন,পুরো বছরের মূল রোজগার হয় এই কোরবানি ঈদে। কিন্তু গত ঈদ থেকে ছুরি-চাকু বিক্রি নেই বললেই চলে। তবু বিক্রির আশায় ঘুম নষ্ট করে জিনিসপত্র তৈরি করে রাখছি। তিনি বলেন,বর্তমানে ভালমানের লোহা পাওয়া কঠিন। লোহার দরও বেড়েছে। সেই তুলনায় জিনিস বিক্রি করা কঠিন হচ্ছে। যাই হোক,আশা ছাড়ছি না। ঈদের এক সপ্তাহ পূর্ব থেকে বিক্রি শুরু হতে পারে। কামারী রামের কাঠি গ্রামের জীবন কর্মকার জানান,ঈদের মৌসুমে বেচাকেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এই আয় থেকে সারা বছরের সংসারের খোরাক হয়,পোশাক ও ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ চলে যায়।

করোনায় মানুষের হাতে টাকা পয়সা না থাকায় এবার বেচাকেনা ও অস্ত্র তৈরি অর্ডার নেই। তাই বিপাকে পড়েছে কারিগরা। অনেকে আবার লোকসানের ভয়ে বন্ধ করে রেখেছেন দোকান ঘর। এসব নিয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন,গত বছর থেকে ঈদে আর আনন্দ নেই মানুষের মনে,বেড়েছে অর্থনৈতিক সংকট। করোনার লকডাউনে ঈদ বিষাদে পরিণত হয়েছে। এমন কথাই বললেন আরো কয়েকজন। করোনা পরিস্থিতির দিকে তারা তাকিয়ে আছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD