শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
এলিফ এক দুঃখী বালিকার অশ্রুঝরা গল্প। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজ বাড়ীতেই যাকে আশ্রিতার পরিচয় নিয়ে বাঁচতে হয়। একদিকে আশ্রিতা হয়ে এলিফের বেঁচে থাকার লড়াই, অন্যদিকে নিষ্ঠুর সৎ বাবা বেইসেলের সংসারে মা মেলেকের জীবন সংগ্রামই এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য। গল্পে দেখা যায় মেয়েটি তার মায়ের গর্ভে আসতেই যেন দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছে।
পারিবারিক আভিজাত্যের অহমিকা এবং পূর্ব শত্রুতার জেরেই এলিফের দাদী তার বাবা-মায়ের বিয়ে মেনে নেয়না। শশুড়ীর হুমকির মুখে অন্তঃস্বত্তা মেলেক স্বামী কেনানকে কিছু না বলেই বাড়ী ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে সন্তানের কথা ভেবে মেলেক বেইসেল নামের এক মধ্যবয়সী লোককে বিয়ে করে। কিন্তু অভাগার ভাগ্য ফেরায় কে? নিষ্ঠুর জুয়াড়ী বেইসেলের পাশবিক অত্যাচারে মেলেক শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে বেইসেল জুয়ার টাকার দায় এড়াতে এলিফকে শিশু পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে মেলেক তা জেনে যায় । জীবনের একমাত্র অবলম্বন মেয়ে এলিফকে বাঁচাতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। তাই এক পর্যায়ে এলিফকে নিজের বাড়ীতেই এক অবহেলিত আশ্রিতা হয়ে দিন কাটাতে হয়। অন্যদিকে এলিফের বাবা কেনান, মা আলিয়ের পছন্দে আরযু নামের এক কুটিল মহিলাকে বিয়ে করে। সেই ঘরে জন্ম নেয় এলিফের সৎ বোন তুইচে। ঘটনাচক্রে তুইচের মা যখন এলিফের আসল পরিচয় জানতে পারে, তখনই শুরু হয় ভাঙ্গা গড়ার জটিল সমীকরণ। সে কিছুতেই রাজত্ব ও রাজপুত্র হাতছাড়া হতে দেবে না। আর এভাবেই নানা নাটকীয় তার মধ্য দিয়ে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিকের এক একটি পর্ব।
দীপ্ত টিভির অভিজ্ঞ ডাবিং টিমের আন্তরিক পরিচর্যায়ে গল্পটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়। নাটকটি প্রচারিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে এবং পরদিন দুপুর ১২টা ১০মিনিটে। অনূদিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, তানজিনা রহমান বর্ণা, মোঃ ফরহাদ হোসেন পাভেল, শামীমা সুলতানা ও শামীমা আক্তার।