শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০৪:০১ অপরাহ্ন
হেলাল আহম্মেদ(রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ তথা সমগ্র বিশ্বে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্ম শতবার্ষিকী মুজিববর্ষ । এই মুজিববর্ষেই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযান উপলক্ষে নানান আয়োজনে পটুয়াখালীতে পালন করা হচ্ছে।
১৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জাতীয় অনুষ্ঠানের সাথে সংগতি রেখে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে এই দিনে।
দিবসটি উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ডিসি স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। সকল সরকারি ,আধা সরকারি , স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা। সকাল পৌনে সাতটায় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু মুরালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত উপস্থিতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী ।
এছাড়া জেলা পরিষদ পুলিশ সুপার,জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ,মহিলালীগ, শ্রমিকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, জাসদ,জাতীয়পাটি,বিএনপি,পৌরসভা, সদর উপজেলা পরিষদ,প্রেসক্লাব ও,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু মুরালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত উপস্থিতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন।
সকাল ৮ টায় ডিসি স্কয়ারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।বাদ যোহর এবং সুবিধাজনক সময় শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায়, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা গনের সুস্বাস্থ্য এবং জাতির শান্তি ,সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও দুপুরে সরকারি হাসপাতাল, জেলখানা,এতিমখানা, সরকারি শিশু পরিবার এবং বৃদ্ধাশ্রমে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে ভিডিও র্ভাচুয়ালের মাধ্যেমে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৬টায় জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারন ওডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়া দিবসটিতে গুরুত্বপূর্নসরকারি, আধা সরকারি ,স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবন, স্থাপনা সমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।
এছাড়া শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনলাইন,ই-মেইল, ডাকযোগে চিত্রাঙ্গন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় উক্ত অনুষ্ঠানে।