বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে হত্যার চেষ্টার সূত্র ধরে অভিযান চালিয়ে বাসায় অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগে ঢাকা-৭ আসনের দাপুটে সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়েরর প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর চকবাজার থানায় মামলা দু’টি দায়ের করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার সিনিয়র এএসপি রবিউল ইসলাম জানান, মোবাইল কোর্টের সাজার পাশাপাশি ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তবে এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না, পরে বিস্তারিত জানানো হবে। প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে ধানমন্ডিতে ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে ইরফান ও তার সহযোগীরা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করেন। এ ঘটনায় হাজী সেলিমের ছেলেসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত দু-তিনজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা। মামলা হওয়ার পর র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর থেকে পুরান ঢাকার সোয়ারীঘাটের দেবীদাস লেনে হাজী সেলিমের ‘চান সরদার দাদা বাড়ি’ ঘেরাও করে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ওই বাসা থেকে অস্ত্র, ৩৮টি ওয়াকিটকি, বিদেশি মদসহ অবৈধ জিনিসপত্র জব্দ করা হয়। এরপর ইরফান সেলিমকে দেড় বছর ও তার দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাদক সেবনের দায়ে ১ বছর ও অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ৬ মাসের দণ্ড দেওয়া হয় ইরফানকে। দেহরক্ষীকে অবৈধ ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।