শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। দেশে সম্প্রতি কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনার পর ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ আন্দোলন করছেন। এ কারণে সরকার ধর্ষণের শাস্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ সংশোধনের লক্ষ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখতে এ আইনটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়। জোরালো দাবির মুখে আজ সোমবার মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শুরু হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০টায় সচিবালয়ে শুরু হয় বৈঠক। সভায় অংশ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুসারে, এ বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯৭৫টি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজে প্রোথিত নারী-বিদ্বেষ, অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা ও পার পেয়ে যাওয়ায় সংস্কৃতির কারণেই কমছে না এ ধরনের অপরাধ। আর সেক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা নিতে হবে রাষ্ট্রকেই।
তারা আরো জানান, সামাজিক আন্দোলনের রাজনীতিকরণও অনেক সময় মূল উদ্দেশ্য আদায়ে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়।