বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হওয়ায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা মৃতের দাফনকার্য সম্পাদন করতে রাজি হননি। তাই বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের আনন্দবাজারস্থ চরফেনুয়া ব্রীজসংলগ্ন জমাদ্দার বাড়ির মো. মিজানুর রহমান জমাদ্দারের মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল।
খবর পেয়ে মৃতের স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ ও মতদ্বৈততা দূরীকরণের জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল হু’র প্রটোকল মেনে মৃতের লাশ দাফন করেন।
শুক্রবার (০৫ জুন) দিবাগত রাত ১ টা নাগাদ দাফন কাজ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন মেহেন্দিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিযুষ চন্দ্র দে।
জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, মো. মিজানুর রহমান জমাদ্দার চিকিৎসার জন্য বরিশালে যাওয়ার পথে শুক্রবার (০৫ জুন) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বে বেশ কিছুদিন তিনি জ্বর ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন।
করোনা সন্দেহে তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা মৃতের দাফনকাজ করতে নারাজ ছিলেন। এমতাবস্থায় মৃতের স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সন্দেহ ও মতদ্বৈততা দূরীকরণের স্বার্থে একটি স্বেচ্ছাসেবী দল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)’র প্রটোকল মেনে মরদেহ দাফন করেন। দাফন কাজে শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ মোল্লা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বেচ্ছায় দাফন কাজে অংশগ্রহণকারী টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, এইচ এম আল-আমীন, মাওলানা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, এইচ এম রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও মোহাম্মদ জামাল মাঝি।
এছাড়াও মেহেন্দিগঞ্জ হাসপাতাল লাশের গোসলসহ সার্বিক বিষয়ে টিমের সদস্যদের সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ, পিপিই ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে।
এসময় আইনশৃংখলা রক্ষার কাজে শ্রীপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যদের একটি সুসজ্জিত দল সহযোগিতা করে।