শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: ভোলার দৌলতখানে গণধর্ষণের ঘটনার ৫ দিন না যেতেই এবার সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১২) কে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাহেবের চর গ্রামে এঘটনা ঘটে।
রাতেই ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে দুই জনকে আসামী করে ভোলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার আলোকে গতকাল সোমবার এঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক মো. রায়হান ও তার সহযোগী ভগ্নিপতি মো. হেলালকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রায়হান ওই ইউনিয়নের মো. সেলিমের ছেলে ও স্থানীয় চরসামাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নির্যাতিতার পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদরের চরসামাইয়া ইউনিয়নের সাহেবের চর এলাকার ১২ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ঘরে একা রেখে তার মা ওষুধ আনতে দোকানে যান। এ সময় একই এলাকার পাশের বাড়ির সেলিমের পুত্র রায়হান ঘরে একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ছাত্রীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রায়হান পালিয়ে যায়। পরে ওই শিশুকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভোলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, আমরা ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করেছি। এবং ভিকটিমকেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে। সঠিক সময়ে আদালতে তা পাঠানো হবে। তবে ভিকটিম সুস্থ আছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাসেল জানান, ভিকটিমের বাবার মামলার আলোকে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ মামলার দুই আসামীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।