বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন
বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের জমিতে স্থাপনা করে রমরমা বানিজ্য করছে একটি চক্র।
হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারীদের আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা হয়েছে। এসব স্থাপনায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন সেখান থেকে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করছে স্থানীয় এ চক্রটি। খাবার হোটেলসহ বিভিন্ন দোকান করেছেন ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ীরা। আবাসিক এলাকার পুকুরের মধ্যেও ঘর তোলা হয়েছে। সড়কের ওপর দোকানপাট তোলায় আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখই একপ্রকার আটকে গেছে। হোটেলের বর্জ্যে সেখানকার পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
দখলদাররা দাবী করেছেন, তারা হাসপাতালের উর্ধ্বতন ও স্থানীয়দের ম্যানেজ করে ঘর তুলে ব্যবসা করছেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিদ্যুতের খুটি থেকে অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে এ ঘরগুলোতে। প্রতিটি ঘর থেকে দৈনিক সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে দখলদারা। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নেতারও এ টাকার ভাগ পান বলে জানা গেছে। ক্রমেই সেখানে নতুন নতুন দোকানের সংখ্যা বাড়ছে।
বিগত ৩/৪ বছরে সেখানে কোনো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত না হওয়ায় বাড়ছে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা ও আয় বাড়ছে দখলদারীদের। এবিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী আবাসিক এলাকায় প্রবেশমুখে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট চেয়ে জেলা প্রশাসনে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলেই এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন।