শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
দেশের বাজারে পেঁয়াজ সংকট আর দাম নিয়ে প্রায় পাঁচ মাস আলোচনা-সমালোচনার পর দাম কমতে শুরু হয় পেঁয়াজের। গত এক মাসের মধ্যে কেজিপ্রতি ২৭০ টাকার পেঁয়াজের দাম কমে ১০০ টাকায় চলে আসে। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২২০ থেকে কমে চলে আসে ৬০ টাকায়। একইভাবে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমে টিসিবির ট্রাক সেলের পেঁয়াজও চলে আসে ৩৫ টাকায়।
কিন্তু, দাম কমতে না কমতেই সম্প্রতি আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ না থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মগবাজার, রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
এসব বাজারে বর্তমানে দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও দেশি নতুন পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। গত সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়। বর্তমানে সব বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ নেই। যদিও এখনো কিছু কিছু দোকানে এসব পেঁয়াজ আছে। সেগুলোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন চড়া থাকার পর পেঁয়াজের দর কমতে শুরু করায় স্বস্তি আসছিল ক্রেতাদের মধ্যে। কিন্তু এরই মধ্যে আবারও হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়ায় তৈরি হয়েছে অসন্তোষ।
মারিয়া নামে মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কাঁচাবাজারের এক ক্রেতা বলেন, গত তিন দিন আগে আমি ১০৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। হঠাৎ করেই আবার সেই পেঁয়াজের দাম হয়ে গেল ১৫০ টাকা। আমার মনে হচ্ছে, যে সিন্ডিকেট এতোদিন বাজার দখলে রেখেছিল, তারাই আবার দাম বাড়িয়েছে। এখনই সরকারিভাবে হস্তক্ষেপ করা না হলে পেঁয়াজের দাম আবারও ক্রেতার সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার ব্যাপারে ফিরোজ নামে খিলগাঁও বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, আমরা খুচরা বিক্রি করি, পাইকারিতে দাম বাড়লে আমাদের দাম বাড়ে। সেখানে দাম কমলে, আমাদের এখানেও কমে যায়। এখন পাইকার বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের এখানেও দাম বেড়েছে।