শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
২০২৫ সালের মধ্যে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতুটি তেঁতুলিয়া ও কালাবদর নদীর ওপর নির্মিত হবে। এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১২ কিলোমিটার। এরমধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার ও দেড় কিলোমিটার করে পৃথক দুটি সেতু হবে বাকিটুকু সড়ক। এ সেতুর মধ্যদিয়ে মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হবে ভোলা।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মাণ প্রস্তাবনার অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এমন তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদে। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব বেলায়েত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সাহাবুদ্দিন আহমেদ, ভূমি সচিব মাকসুদুর রহমান, জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক, জেলা পরিষদের প্রশাসক আবদুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার সরকার কায়ছার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব প্রমুখ।
সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ হবে এবং এ ব্রিজ নির্মাণ এখন সময়ের ব্যাপার। ব্রিজকে কেন্দ্র করে ইপিজেড ও টুরিজম হবে। ভোলা একটি শিল্পায়নের জেলা হবে। সারাদেশের মধ্যে ভোলা একটি শ্রেষ্ঠ জেলায় রূপান্তরিত হবে। এ জেলাকে সিঙ্গাপুরের আদলে সাজানো হবে।
সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোলা-বরিশাল ব্রিজ ভোলাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি এখন বাস্তবায়নের পথে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্ব দরবারে অধিষ্ঠিত হবে। ফলে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আন্তরিক আছেন।
পরে সাবেক মন্ত্রীসহ প্রতিনিধি দল ভোলা-বরিশাল ব্রিজের স্থান ভেদুরিয়া পরিদর্শন করেন।