সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে বরিশাল নগরে বন্ধুর ছুরির আঘাতে অপর বন্ধু নিহত হয়েছে। সোমবার (০৪ নভেম্বর) নগরের আমানতগঞ্জ কসাই বাড়ির পোল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন হাওলাদার ওরফে নুরন্নবী (২৪) নগরের উত্তর আমানতগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এবং বাজার রোড প্রিয় ভান্ডারের কর্মচারী। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ধীঘলদী এলাকার মোহাম্মদ আলী’র ছেলে। হামলাকারী সুমন আমনতগঞ্জ ইসলামিয়া কলেজের পেছনে মসজিদ সংলগ্নের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে এবং পেশায় সে একজন প্রাইভেট কার চালক। তার গ্রামের পটুয়াখালীতে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের বন্ধু সোহাগ জানায়, ‘রুহুল আমিন তার বন্ধু সুমনের মাঝে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। সোমবার (০৪ নভেম্বর) সকালে রুহুল মোবাইল ফোনে সুমনের কাছে টাকা চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরবর্তীতে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আমানতগঞ্জ কসাইবাড়ির পুল এলাকায় তাদের দু’জনের দেখা হয়। সেখানে পুনরায় কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায় সুমনের সাথে থাকা চাকু দিয়ে রুহুলের হাতে ও গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সোহাগ ও রিপন মুমূর্ষ অবস্থায় রুহুলকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। নিহতের শশুর শফিউল ইসলাম জানান, ‘রুহুলের ১৪ মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ইতিপূর্বে সে ঢাকায় চাকরী করত। সেখান থেকে বরিশালে এসে বাজার রোডে চাকরী নেয়। রুহুল ও সুমন একে অপরের বন্ধু। তবে কি কারনে রুহুলের উপর এ হামলা তা জানেন না বলে দাবি করেছেন তিনি। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, ‘পাওয়া টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে শোনা যাচ্ছে। তাছাড়া হামলাকারী সনাক্ত হয়েছে। তাকে গ্রেফতার এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।