শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:ভোলার লালমোহন, কর্তারহাট বাজারের মাদক সেবনকারী স্বামী মোঃ আল-আমিন শরীফ পিতা,ছিদ্দিকুর রহমানের পরিবারের নির্যাতনের অতিষ্ঠ হয়ে চরফ্যাশন ওমরপূর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও শরীফের
গৃহবধূ আসমা আক্তার তামান্না প্রশ্ন কেমন স্বামী শরীফ দৈনিক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে বেধরক মারধর করে। এমনটাই প্রশ্ন রেখেছেন সমাজ সহ ভোলার গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে। এসময় তিনি আরো জানান সাংসারিক জীবনে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে আমাদের আজ পযন্ত পাষন্ড পিতার কোলে যার ঠাই হয়নি যে সন্তানের সাথে
গৃহবধূ আসমা আক্তার তামান্না তাহার স্বামী মোঃ আল-আমিন শরীফ পিতা,মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত ২/৮/২০১৮ইং তারিখে পারিবারিক ভাবে আমি ও আমার স্বামি মো: আল আমিন শরীফের উভয়ের পরিবারের সম্মতিক্রমে ৭লক্ষটাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।
বিয়ের কয়েক মাস ভালভাবে চলে আমাদের সংসার। এছাড়া বিয়ের সময় আমার পরিবার মেয়ের সুখের কথা ভেবেই আমার স্বামিকে এক ভরি ওজনের দুইটি চেইন এবং দশটি আংটি, যার ওজন প্রায় চার ভরির মতো উপহার হিসেবে দেয়। পাশাপাশি শরীফের বোন জামাই অর্থাৎ আমার ননদের জামাইকেও এক ভরি ওজনের একটি চেইন ও আংটি উপহার স্বরুপ দেওয়া হয়। এছাড়া বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার সময় সাংসারিক মালামালসহ প্রায় আনুমানিক সাতলক্ষ টাকার আসবাবপত্র দিয়ে আমাকে স্বামির বাড়িতে প্রেরন করে। মেয়ের সুখের জন্য তবে সেই সুখ বেসিদিন আমার কপালে জুটলোনা বলে অভিযোগ স্ত্রী তামান্নার।কারন জানতে চাইলে স্ত্রী তামান্না জানান,নিত্যদিন তার স্বামির মাদক আসক্ত হওয়া এবং গভীর রাতে এসেই আমাকে অকারনে মিথ্যা বাহানায় মারধর করাই যেন এক নিত্যকার পেশায় পরিনত হয়েছে তার।তামান্না আরো অভিযোগ করেন বিয়ের পর আমি শশুর বাড়িতে নিত্যদিন দেখতে পেতাম তাহার কাছে বিভিন্ন সময় অচেনা লোকজনের আনাগোনা। পরে জানতে পারি এরা অধিকাংশ মাদক বিক্রেতাসহ বখাটে মাদক আসক্ত লোকজন।যারা মাদকব্যবসায়ী এবং সেবনের মাধ্যমে টাকাপয়সা লেনদেনসহ আমার শশুর বাড়িতে করত। তাছাড়া মাঝেমধ্যে আমি তাহার মাদক সেবনের দৃশ্যটি নিজ চোখেও দেখতে পাই। একপর্যায় আমি শরীফকে মাদকের ভয়াবহ পথথেকে ফিরে আসার জন্যে প্রানপন চেষ্টা অব্যাহত রাখি।একপর্যায় কোন প্রকার ফলুপ্রসু নাহলে বিষয়টি আমার স্বশুর মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকেও জানাই। তবে শশুরের পরিবারের পক্ষহতে কোনরুপ সারা না পেলে উল্টো সেইদিন আমাকে শরীফ শশুরকে নালিশ করার দায়ে আমাকে বেধরক মারধর করে।পরেরদিন স্থানীয় লোকজন জানায় শরীফ তার পরিবারের সম্মতিক্রমে এবং তাদের আর্থায়নে তাদের বাসায় ইয়াবা ব্যবসার কারবারি পরিচালনা করে।যদি স্বামির পরিবারের কাছে নালিশ দিলেও যদি একজন স্ত্রীকে মার খেতেহয় সেই স্ত্রী তখন আর কার কাছে নালিশ করবে বলে প্রশ্ন নির্যাতিতা স্ত্রী তামান্নার প্রশ্ন?নিত্যদিনের স্বামীর ও শ্বশুর বাড়ির অত্যাচার মাত্রাতিরিক্ত হয়ে
গত-১০/১০/২০১৯ইং তারিখে নেশাগ্রস্থ হয়ে আমাকে যৌতুকের টাকার জন্য আমার স্বামি চাপদেয় আমি তাতে অসৃকৃতি জানালে বেধরকভাবে মারধর করে। একপর্যায় চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রই বলে অভিযোগ তামান্নার।
তামান্না আরো অভিযোগ করে বলেন,স্বামি আল-আমিন শরীফ ২৪ঘন্টা নেশাগ্রস্ত থাকেন।তার নির্যাতনের কিছুদিনের মধ্যে আমি অন্তঃস্বত্বা হই। তারমধ্যে আমি নিষ্ঠুর স্বামির অত্যাচারে নিত্যদিন জর্জরিত হলে পরে অন্তত গর্ভের সন্তানের সুরক্ষায় কথাভেবে আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে চলে আসি। তাহার কিছুদিন পর শরীফ আমার পিতৃলয়ে এসে আবারো দুইলক্ষ টাকার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি তা না দেওয়ার অভিমত ব্যক্তকরলে ফের সেখানেও মারধর করে চলেযায় বলে অভিযোগ স্ত্রী তামান্নার।
একপর্যায় দাম্পত্যজীবনের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে তখন নিরুপায় হয়ে সবার পরামর্শে ভোলার বিজ্ঞ আদালতে আইনের আশ্রয় নেন বলে জানান তামান্না।যার যৌতুক মামলা (১৯৬/১৯)এবং নারী শিশু নির্যাতন নং(৬৬৩/১৯) ও প (৪২/১৯)পর্যায়ক্রমে দাখিল করি।
অন্যদিকে তামান্না জানান বিয়ের কাবিনিনামা সাত লক্ষ টাকা হলেও শরীফসহ তার পরিবার বিয়ের কাজীর মাধ্যমে পাঁচলক্ষ টাকা উসুল দিয়ে নকল কাবিন জালিয়াতির মহপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। বিষয়টি পরবর্তীতে আমি ও আমার পরিবার জানতে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে ফের তা সংশোধন করি।
এদিকে তামান্না আরো বলেন নিজ সন্তানের ভুমিষ্ট হওয়ার পর তাহার কথা ভেবে বহুবার সংসার করার ইচ্ছায় পারিবারিক সুরাহা করলেও আমি ব্যার্থ হই।পরে দায়ের করা যৌতুক মামলাটি ১৯৬/১৯ বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে আল-আমিন শরিফের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এখন সেই মামলাটি তুলেনিতে তাহার পরিবার বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার নির্দোষ পিতামাতাকে প্রাননাশ ও সামাজিক বিত্তহীন অভিযোগ তুলে হুমকি হয়রানী প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তারা মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রেরনের মাধ্যমে আমাকে অহেতুক হয়রানি করে যাচ্ছে তাই বিষয়টি আমি ভোলার গনমাধ্যমে একটি নারীর ও শিশুসন্তানের জীবন সুরক্ষা পেতেই আমার কথাগুলো তুলে ধরলাম যেন আর কারো জীবনে এমন ঘটনা না ঘটায় কোন অপদার্থ স্বামি ও তাহার পরিবার।
এ’ব্যাপারে আল-আমিন শরীফের সাথে একাদিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি নিজে বক্তব্য না দিয়ে,স্থানিয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রেরন না করতে প্রতিবেদন দিতে বিঘ্ন ঘটান।