বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি আনন্দ র‍্যালী বাড়ি ভাড়া এবং শিক্ষক নির্যাতনের প্রতিবাদে কলাপাড়ায় শিক্ষকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ পটুয়াখালীর মাদক ডন আব্বাস ও সোহাগ ডিবির জালে বাউফলে নিখোঁজ রাসেলের তিনদিন পর ম/র/দে/হ উদ্ধার দিনে দুপুরে কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হ/ত্যা/র চেষ্টা বাউফলে এক প্রসূতির জরায়ুর ভিতরে সিজারিয়ান কাচি পাওয়ার অভিযোগ ‘শীগ্রই কলাপাড়ায় যুগ্ম জেলা জজ আদালত স্থাপন করতে হবে’ বিচারপতি জেবিএম হাসান কুয়াকাটায় ২দিন ব্যাপী শিক্ষক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত বরিশালে নারীপক্ষের আয়োজনে তরুণ প্রজন্মের সফলতার গল্প শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে জেলা প্রশাসকের শুভ আগমন উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাউফলে জেলেদের মাঝে (বিজিএফ) এর চাল বিতরণে অনিয়ম স্বল্পমূলে তৈরিকৃত ১৯২ জন জেলেদের মাঝে লাইফবয়া বিতরণ পটুয়াখালী র‍্যাব ক্যাম্পে,ঘুমন্ত অবস্থায়  র‍্যাব সদস্যর মৃ/ত্যু কলাপাড়ায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে ইউএনও’র মত বিনিময়
ভোলার লালমোহনে নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্যাতনে,অতিষ্ঠ স্ত্রীসহ সন্তানের জীবন।

ভোলার লালমোহনে নেশাগ্রস্ত স্বামীর নির্যাতনে,অতিষ্ঠ স্ত্রীসহ সন্তানের জীবন।

Sharing is caring!

স্টাফ রিপোর্টার:ভোলার লালমোহনের কর্তারহাট বাজারের মাদক সেবনকারী স্বামী মোঃ আল-আমিন শরীফ পিতা,ছিদ্দিকুর রহমানের পরিবারের নির্যাতনের স্বিকারে অতিষ্ঠ চরফ্যাশন ওমরপূর ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও
গৃহবধূ আসমা আক্তার তামান্নার পুত্রসন্তানসহ তাহার পিতামাতার পরিবার।

এবিষয়ে ঘটনার এক লিখিত অভিযোগের বনর্নায়,গৃহবধূ আসমা আক্তার তামান্না তাহার স্বামী মোঃ আল-আমিন শরীফ পিতা,মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, গত ২/৮/২০১৮ইং তারিখে পারিবারিকভাবে গৃহবধূ তামান্না ও স্বামি মো:আল আমিন শরীফের পরিবারসহ ৭-লক্ষটাকা দেনমোহর ধার্যকরে উভয়ের পরিবারের সম্মতিক্রমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন বলে জানান।

তাদের দাম্পত্যজীবনের মাসকয়েক ভালভাবে সুখেই দিন কাটে। এছাড়া বিয়ের সময়ে তাহার স্বামি আল-আমিন শরিফকে তামান্নার পরিবারের পক্ষহতে এক ভরি ওজনের দুইটি চেইন এবং দশটি আংটি, যার ওজন প্রায় চার ভরির মতো শশুরের পরিবার তাহাকে উপহার হিসেবে দেয়। পাশাপাশি তাহার স্বামির বোন জামাই অর্থাৎ তাহার ননদের জামাইকেও এক ভরি ওজনের একটি চেইন ও আংটি উপহার স্বরুপ দেওয়া হয়।এছাড়া মেয়ের সাংসারিক জিবনের কথা বিবেচনা করে তামান্নার পিতামাতা বিয়ের পর সাংসারিক মালামাল সহ প্রায় আনুমানিক সাত লক্ষ টাকার আসবাবপত্র ক্রয়করে স্বামির বাড়িতে প্রেরন তামান্নাকে প্রেরন করে।
পরে স্বামী ও স্বশুর বাড়িতে বসবাসের মাস কয়েক পরে জানতে পারেন তাহার স্বামির মাদক আসক্ত হওয়ায় তাদের পরিবার বিবাহের পূর্বে ছয় মাস আগে (মাদক নিরাময় কেন্দ্র) রিহ্যাব হতে চিকিৎসার করার মাধ্যমে তাহাকে নিজেদের বাড়িতে আনার পর পরই আমার সাথে বিবাহ সম্পন্ন করা হয়। আমি তারপরো সকল কিছু জেনেও স্বামির বাড়িতে সংসার করতে বসবাস করতে থাকি।তবে শশুর বাড়িতে আসার পর আমি দেখতে পেতাম তাহার কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মাদক বিক্রেতাসহ বখাটে মাদক আসক্ত লোকজনের আনাগোনা এবং ব্যবসায়ীসুত্র টাকাপয়সা লেনদেনসহ বিভিন্ন বিষয় আমার চোখে পরে। তাছাড়া মাঝেমধ্যে আমি তাহার মাদক সেবনের দৃশ্যটি নিজ চোখে দেখতে পাই । একপর্যায় আমি আমার স্বামিকে মাদকের ভয়াবহ পথথেকে ফিরে আসার জন্যে বিভিন্নভাবে অনুরোধ জানাই। পরে তাহার কোন প্রকার ফলুপ্রসু না পাওয়ায় বিষয়টি আমার স্বশুর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান কে জানাই। তবে তাহার পরিবারের পক্ষহতে কোন রুপ সারা না পেয়ে পরবর্তিতে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্বামি ও তাহার পরিবারের সম্মতিক্রমে তাদের আর্থায়নে তাদের সন্তান আল আমিন শরিফকে দিয়ে তারা বাসায় ইয়াবা কারবারি চালায় বলে জানি। তবুও আমি আমার স্বামীকে এই পথথেকে ফিরিয়ে আনার জন্যে আমার পারিবারসহ কয়েকবার দফা চেষ্টা করলেও একপর্যায় ব্যার্থ হই। আর যার ফলশ্রুতিতে আমার স্বামী ও শ্বশুরের পরিবারসহ আমাকে এইপযন্ত বহুবার অত্যাচার মারধর করার ঘটনা ঘটে ।
এদিকে ঘটনার দিন গত-১০/১০/২০১৯ইং তারিখে মাদকাসক্ত হয়ে আমাকে যৌতুকের টাকার জন্য আমার স্বামি আমাকে বেধরকভাবে শারিরিক নির্যাতন। স্বামির মাত্রাতিরিক্ত নিরর্যাতন ফলে আমি চরফ্যাশন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে কয়েকবার হাসপাতালে এডমিন হই।

তাছাড়া স্বামি আল-আমিন শরীফ ২৪ ঘন্টা মাদকাসক্ত থাকেন। উক্ত নির্যাতনের কিছুদিনের মধ্যে আমি গর্ভাবতী হই তবুও স্বামির অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে আমি বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিতে চলে আসি। তাহার কিছুদিন পর আমার স্বামি আল-আমিন শরীফ আমার পিতৃলয়ে এসে আবার দুইলক্ষ টাকার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি তা দিতে অ-সৃকৃতি জানালে আমার বাবার বাড়িতে সকলের উপস্থিতে ফের মারধর করে আমাকে রেখে চলে যায়।

একপর্যায় দাম্পত্যজীবনের সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে তখন নিরুউপায় হয়ে আমি ভোলার বিজ্ঞ আদালতে আইনি ইনসাফ পেতে একটি যৌতুক মামলা (১৯৬/১৯)এবং নারী শিশু নির্যাতন মামলা নং(৬৬৩/১৯) ও পারিবারিক সম্মতিক্রমে (৪২/১৯) দাখিল করি। এদিকে উক্ত মামলার আগেই আমার স্বামি শরীফ ও আমার শশুরসহ বিবাহের সময় কাবিননামা জালিয়াতি করার পায়তারা করে। সাত লক্ষ টাকার কাবিনকে তারা কাজীকে চাপপ্রয়োগের মাধ্যমে পাঁচলক্ষ টাকা উসুল দিয়ে নকল কাবিন জালিয়াতির করার পায়তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।বিষয়টি পরবর্তীতে আমিসহ আমার পরিবার জানতে পারলে স্থানীয়ভাবে শালিশের মাধ্যমে ফের কাবিননামাটি সংশোধন করি।
উল্লেখ্য রয় যে আমার স্বামি
আলআমিন শরীফে ও আমার শশুর সিদ্দিকুর রহমান, চরফ্যাশন চরমানিকা ইউনিয়ন পরিষদে সামান্য একটি চাকরি করেন। পৈতৃক সূত্রে সে মাত্র ১০ গন্ডা জমির মালিক। কিন্ত বর্তমানে সে ও তার ছেলের ইয়াবা কারবারির জন্য রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়ে চরফ্যাশনের কর্তারহাট একটি আলিশান বাড়ি বানায়। এছাড়া স্থানিয় গ্রামবাসী ও স্থানিয় প্রশাসনের কাছেও তাদের ইয়াবা ব্যবসার ব্যপারে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে আমার দায়ের করা যৌতুক মামলাটি ১৯৬/১৯ বিজ্ঞ আদালত পর্যালোচনা করে আমার স্বামি আলআমিন শরিফের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। নির্যাতিতা আাসমা আক্তার আরো জানান, তাহার স্বামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলেনিতে বিভিন্নভাবে আমাকে ও পিতামাতার পরিবারকে প্রান নাশের হুমকিও প্রধান করে আসছে আমার নেশাগ্রস্ত স্বামিসহ তাহার পরিবারগন। এছাড়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে এবং বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রেরনের মাধ্যমে আমাকে অহেতুকী হয়রানি করার হুমকি দিতে থাকে। এদিকে আসমা আক্তার তাহার উক্ত বিষয়টি তাহার একটি লিখিত বক্তব্যর মাধ্যমে সংবাদকর্মীকে দেওয়া জবানবন্ধিটি পত্রপত্রিকায় লিখিত অভিযোগ ও উক্ত বিষয়টি সংবাদ প্রতিবেদনের মাধ্যমে সত্য তুলেধরার অনুরোধ জানান নির্যাতিতা এই গৃহবধূ চরফ্যাশনের আসমা আক্তার তামান্না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD