শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
কোরবানির ঈদের দ্বিতীয় দিন সকাল থেকেই দক্ষিনাঞ্চলের মোকামগুলোতে পর্যাপ্ত ইলিশের আমদানি ঘটেছে। বিশেষ করে বরিশালের পোর্টরোডস্থ একমাত্র বেসরকারি মৎস অবতরণ কেন্দ্র সকাল থেকেই ইলিশে সরগরম হয়ে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতা, জেলে আর শ্রমিকদের পদচারনায় এক ব্যবসায়িক কর্মজজ্ঞ চলছে সেখানে। ফিসিংবোট, বরফকল থেকে শুরু করে প্যাকিং পর্যন্ত শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পাড় করছে। আবার ইলিশের আমদানি বাড়ার কারণে দরও কিছুটা নিম্নমুখি রয়েছে বলে দাবী করেছে ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা এখন ফাঁকা। তাই ঢাকায় তেমন মাছের চাহিদা নেই। আর মৌসুমের এ সময়টা এমনিতেই জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তাই সবমিলিয়ে এখন বরিশালসহ দক্ষিনাঞ্চলের অবতরণ কেন্দ্র ও মৎস আড়তগুলোতে ইলিশের চাপ বেড়েছে। পোর্ট রোডের মৎস ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, বর্তমান সময়ে ঢাকা, চাঁদপুরে ইলিশের চাহিদা কমে গেছে, আবার নীচের দিকে অর্থাৎ আলীপুর-মহিপুরে ইলিশের আমদানি অত্যাধিক হওয়ায় সেখানে দর পরে গেছে। ফলে সবমিলিয়ে বরিশালের মৎস অবতরণ কেন্দ্রে ছুটে আসছেন জেলেরা। আজ সকাল থেকেই পোর্ট রোডে বিগত সময়ের থেকে অনেক বেশি ইলিশ আমদানি হচ্ছে। তিনি বলেন, ইলিশের আমাদানির ফলে দর কমে যাচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগে ভেলকা সাইজের ইলিশ মনপ্রতি ৩২-৩৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ২৮-৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার এলসি সাইজেল ইলিশ ঈদের আগে মনপ্রতি ৪৬-৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ৪০-৪১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে কেজি সাইজের ইলিশ মনপ্রতি ৫৩-৫৪ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও আজ তা ৪৮-৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মৎস অবতরণ কেন্দ্রের শ্রমিকরা বলছেন, নদী ও সাগরে ইলিশ শিকার অব্যাহত থাকলে আগামী কিছুদিন বরিশালের অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশের আমদানি এ রকমই থাকবে। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভোক্তা পর্যায়ে ইলিশের চাহিদা বেড়ে গেলে দামও উর্ধমুখি হবে।