শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২১ অপরাহ্ন
বরিশাল মহানগরসহ গোটা জেলায় কোরবানির পশুর বেচা-বিক্রির জন্য মোট ৬৬ টি হাট বসছে। যারমধ্যে বেশকিছু স্থায়ী হাটে এরইমধ্যে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হয়ে গেছে, তবে বেশিরভাগ হাটগুলোতে, পশু সরবরাহের আগের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে।
আশা করা হচ্ছে আগামী শুক্রবার থেকে বরিশালের সকল হাটগুলোতেই পুরোদমে কোরবানির পশু বেচা-বিক্রি শুরু হয়ে যাবে।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারি বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় এবারে কোরবানির পশুর জন্য ৬০ টি হাটের ব্যবস্থা থাকছে। যারমধ্যে স্থায়ী ২৫ টি ছাড়াও ৩৫ টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে গোটা জেলায়।
স্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ১ টি, বাবুগঞ্জে ২ টি, বাকেরগঞ্জে ৬ টি, গৌরনদীতে ২ টি, মুলাদীতে ২টি, বানারীপাড়ায় ৩ টি, হিজলায় ৭ টি ও মেহেন্দিগঞ্জে ২ টি রয়েছে। অপরদিকে অস্থায়ী হাটের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ৭ টি, বাবুগঞ্জে ৪ টি, উজিরপুরে ৬ টি, বাকেরগঞ্জে ৪ টি, গৌরনদীতে ১ টি, আগৈলঝাড়ায় ৩ টি ও মুলাদীতে ১০টি হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন সূত্রে জানাগেছে, বরিশাল নগরের পোর্টরোড কসাইখানা, বাঘিয়া আবহাওয়া অফিস সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের দুটি স্থায়ী হাট রয়েছে। যার পাশাপাশি কোরবানির পশু বিক্রির জন্য নগরের রুপাতলীস্থ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে, কালিজিরা বাজার সংলগ্ন এলাকা, চৌমাথা থানা কাউন্সিলের বিপরীত পাশে, কাউনিয়া টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন মাঠে একটি করে অস্থায়ী গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু বলেন, অনুমোদিদত হাটগুলোতে যথানিয়মে পশু সরবরাহ করবে ইজারাদাররা। হাটের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ সার্বিক কাজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সাথে করপোরেশন সহযোগীতা করবে। আর আমাদের মেয়র মহোদয় হাট ইজারদারদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, তারা যেন কোন পশু বিক্রেতাকে টানা হেচড়া না করেন। যে বিক্রেতার যে হাটে যেতে চান, তাকে যেনো সে হাটেই যেতে দেয়া হয়।
এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিটি হাট ইজাদারদের বা পরিচালনাকারীদের নিজস্ব ভরান্টিয়ার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা নিশ্বিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি হাটে জাল টাকা সনাক্তকরণের মেশিন, পুলিশ ক্যাম্প, পশুর চিকিৎসা ও গুনগত মান নিশ্চিত করণে মেডিকেল ক্যাম্প, মোবাইল ব্যাংকিং বুথ থাকছে। এছাড়া নিয়মিতো মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে মোটাতাজা করা পশু ও আমদানিকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি অনুমোদন বিহীন হাট বসালে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।