বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
ফরাজী মো:ইমরান,(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: মৌসুমের শুরুতই ৬৫ দিনর অবরোধ শেষে ইলিশ শিকারে গভীর সমুদ্র যাত্রা করেছে কলাপাড়ার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৪৮ হাজার জেলে। গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারের অদম্য ইছা থেকে জেলে পাড়া গুলায় বিরাজ করছে উৎসব মুখর পরিবেশ। মৌসুমর অর্ধেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও জেলেদের জালে মিলবে ঝাকে ঝাকে রুপালী ইলিশ, মৎস্য আড়ৎ গুলায় ফিরে আসবে বানিজ্যিক প্রানচাঞ্চল্য এমনটাই প্রত্যাশা জেলেসহ ব্যবসায়ীদের।
অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২২ জুলাই রাতে শেষ হয়েছে ৬৫ দিনের মৎস্য শিকার নিষেধাজ্ঞা। দীর্ঘ এ অবরোধকালীন সময় জেলেরা সাগরে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন করে রাখেন আগেভাগেই। গভীর সাগরে ইলিশ শিকারের উদ্দেশ্যে সোমবার ভোর রাত থেকে ট্রলার নিয়ে দলে দলে যাত্রা শুরু করেছেন জেলেরা। গভীর সমুদ্র থেকে ট্রলার ভর্তি রুপালি ইলিশ নিয়ে জেলেরা ফিরবেন ঘাটে। জমে উঠবে দক্ষিনরে সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরর আড়ৎগুলো।
মৌসুমের শুরুতেই অবরোধ, অবরোধকালীন সময় প্রনোদনা না দয়া এবং অবরাধকালীন সময় দশের জলসীমানায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জেলেদর মাছ ধরা নিয়ে ক্ষুদ্ধ জেলেরা। ৭ই জুলাই কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ৩২ ভারতীয় ফিসিং ট্রলারসহ ৫১৯ জেলে কোষ্টগার্ডর কাছে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার ঘটনাকে এমন বস্তবতা বলে মনে করছেন জেলেসহ ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে সময়কার অবরোধকালীন সময়সীমা নির্ধারনের দাবী জেলেসহ ব্যবসায়ীদর।
আল্লাহর দান বোর্ডের মাঝি রহমান জানান, মাছ শিকার ছাড়া আর কোন পেশার অভিজ্ঞতা না থাকায় অবরোধকালীন সময় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে। আমরা জেলেরা অপেক্ষায় থাকি মৌসুম ইলিশ শিকারের মাধ্যমে পরিবারের জন্য আর্থিক স্বাছন্দে পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর। আলীপুর ফিশিং ট্রলার মাঝি সমিতির সভাপতি নুরু মাঝি বলন, সরকারের দেয়া অবরোধ মেনেছি। কি ভারতীয় জেলেরা এ অবরোধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের জলসীমানায় প্রবেশ করে প্রচুর ইলিশ শিকার করে নিয়েছে। বিসমিল্লাহ ফিশিং ট্রলারের মাঝি গোলাম মোস্তফা বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের সাথে সময় করে অবরোধ দেয়াসহ এসময় জেলেদের প্রনোদনা জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানা মহিপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফজলু গাজী বলন, মৌসুমের শুরুতে অবরোধের ফলে দখিনের বড় মাছের মোকাম আলীপুর-মহিপুরের অড়ৎ গুলো হয়ে পড়েছিলো নিস্প্রান। বেকার, অলস, মানবতের সময় পার করেছেন সংশ্লিস্ট শ্রমিক। এখন কর্ম চাঞ্চল্য হয়ে উঠেছে। আশা করছি সাগরে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। মৌসুমের শুরুতে অবরোধের ফলে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি ব্যবসায়ীসহ জেলেদের হয়েছে এর মাধ্যমে আমরা তা পুষিয়ে নিতে পারবো।
কলাপাড়া উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা বলেন, এ অবরোধের ফলে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ পরার সম্ভাবনা রয়েছে। অবরোধকালীন সময়সীমা নির্ধারনের জন্য জেলেদের দাবি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।