সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেক্স : হোম অব ক্রিকেট খ্যাত লন্ডনের লর্ডসে বাংলাদেশকে ৩১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। সেমিফাইনালে যেতে হলে এখন টাইগারদেরকে মাত্র ৭ বা তারচেয়ে কম রানে অলআউট করতে হবে সরফরাজ আহমেদদের।
ব্যাটিংয়ে নেমে ইমাম-উল-হকের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৫ রান সংগ্রহ করে সরফরাজ আহমেদের দল। ম্যাচটি শুরু হয় শুক্রবার (০৫ জুন) বিশ্বকাপে রাউন্ড রবিনে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর এটি শেষ ম্যাচ।
বাংলাদেশের সেমিফাইনালের স্বপ্ন আগেই ভেঙে গেছে। শেষ চারে যেতে হলে টাইগারদের বিপক্ষে পাকিস্তানের জিততে হতো ৩১৬ রানে। কিন্তু তারা থেমে গেছে ৩১৫ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভাল শুরুর আভাস দেয় পাকিস্তান। দলীয় ২৩ রানে ফখর জামানকে (১৩) সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পাকিস্তান ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠে বাবর আজম ও আরেক ওপেনার ইমাম-উল-হকের ব্যাটে। দু’জনে মিলে গড়েন ১৫৭ রানের জুটি।
সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে সাইফউদ্দিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন বাবর। তার ৯৮ বলে ৯৬ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চারে। সাজঘরে ফেরার আগে একটি রেকর্ড গড়েন তিনি। বিশ্বকাপের এক আসরে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭৪ রান করেন বাবর। এর আগে ১৯৯২ বিশ্বকাপে ৪৩৭ করেছিলের জাভেদ মিঁয়াদাদ।
বাবর ব্যর্থ হলেও বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন ইমাম। চাচা ইনজামাম উল হকের পরে লন্ডনের লর্ডসে দ্বিতীয় পাকিস্তানি হিসেবে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ইমাম। ইমামকে হিট উইকেটে আউট করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ১০০ বলে করেছেন ১০০ রান করেছেন এই পাকিস্তানি ওপেনার।
বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে কোনো পাকিস্তানি দু’টি সেঞ্চুরির দেখা পাননি। ১৯৯২ বিশ্বকাপে একটি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন রমিজ রাজা ও আমির সোহেল। ২০১৯ বিশ্বকাপে একই কাজটি করেছেন বাবর ও ইমাম। বাবর সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। .
ইমামের পরপরই মেহেদী মিরাজ সাজঘরে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজকে (২৭)। বেশিক্ষণ টিকেনটি হারিস সোহেলও (৬)। রিটায়ার্ড হার্ট ২ রান করে ফিরে যান সরফরাজ। পরে ইনিংসের শেষ বলে নেমে আরেকটি রান করেন তিনি।
পাকিস্তান তিনশোর্ধ্ব রান পায় ইমাদ ওয়াসিমের ব্যাটে ভর করে। মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। সাইফউদ্দিন নিজের তৃতীয় শিকার বানান ওয়াহ রিয়াজকে (২)। শাদাব খান (১), মোহাম্মদ আমিরকে (৮) আউট করে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ৫ উইকেট শিকারের মাইলফলক গড়েন মোস্তাফিজ।
এই মাইলফলক গড়ে গ্যারি গিলমোরকে ছুঁয়েছেন তিনি। ৪৪ বছর আগে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট নেন এই অস্ট্রেলিয়ান বোলার। আর তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখাচ্ছেন মোস্তাফিজ। ২০১০ সালে টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে এই লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখান তামিম। লর্ডসে যারা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট লাভ করে তাদেরকে সম্মান জানানোর জন্য এটি করে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ওঠে এসেছে মোস্তাফিজ। ২৪ উইকেট নিয়ে শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। কাটার মাস্টারের উইকেট ২০টি। এছাড়া দ্রুততম বোলারদের মধ্যে চতুর্থ হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলক গড়েছেন মোস্তাফিজ। তিনি এই এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৫৪ ইনিংসে।