বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, পটুয়াখালী: ” শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আপনার শিশুকে স্কুলে পাঠান, আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ” ইত্যাদি নৈতিকতার জাতীয় শ্লোগান থাকলেও, এক শ্রেণীর বালু ব্যাবসায়ী তা বালু চাপা দিয়ে দিচ্ছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১২৯নং বালিয়াতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজ হুমকির মুখে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও জনসাধারণের তথ্যে জানা যায়, এক শ্রেণির অসাধুপায়ী বালু ব্যাবসায়ী বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নাম ব্যাবহার করে বিদ্যালয়ের মাঠ কেটে বালুর পাইপ বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
যার কারণে বেড়ে উঠা শিশু শিক্ষার্থীদের শিক্ষানিবেশ পরিবেশ আজ হুমকির মুখে বলে মনে করেন স্থানীয় জনগন। স্থানীয় ইউসুফ, বশির, জুয়েল, জহিরুল ও সুমন হাওলাদার এর মত জনসাধারণের অভিযোগ স্কুল কমিটির যোগসাজশে উৎকোচ এর বিনিময়ে এ ধরনের কর্মকান্ড ঘটছে।
কথা হয় বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইয়াছমিন, হাফিজা, আয়শা, ইতি, রাকিবুল, ইমরান, আরিফ হোসেন, সোনিয়া, কামাল হোসেন ও জোবায়েরসহ আরো অনেকের সসাথে তারা জানায়, ‘আমরা ত এ্যাহন মাডে খেলতে পারিনা, মাডের মধ্যে কাঁদা স্কুলে আইতে মনে কয় না” পড়তেও মনে চায়না”।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে বালুর পাইপ বসিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার বিষয়ে বালু ব্যাবসায়ী সংশ্লিষ্ট মোঃবশির আহমেদের সাথে মুঠোফোনে কথা বল্লে তিনি জানান, যদিও বিষয়টি ঠিক হয়নি, কিন্তু বিদ্যাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশই মাঠ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে বলেন, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে ভেকু দিয়ে মাঠ কেটে বালুর পাইপ বসিয়েছে যার কারণে বিদ্যালয়ের পরিবেশ আজ হুমকির পথে। এবিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্কুল কমিটির সভাপতি বরাবর জানিয়েছি, কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেননি। আর আমিও কোন নির্দেশ দেইনি বলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানান।
এবিষয়ে কমিটির সভাপতি মোঃ ইউসুফ হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে বহুবার বাধাঁ দিয়েছেন, এতে কোন কাজ হয়নি বলেন। বালু ব্যাবসায়ীদের সাথে যোগসাজশের কথা জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল বশার এর কাছে মুঠোফোনে কথা হরে তিনি জানান, সরকারী বিদ্যালয়ের মাঠ কোন ভাবেই কাটা যাবেনা, সে যতো বড় প্রভাবশালী হোক, আমি আজ’ই ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নিবো। তাছাড়া কেউ যদি সরকারী জায়গায় দখল করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করে, তা হলে অবশ্যই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সে ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা করবেন ।
উল্লেক্ষ্য, এ স্কুল মাঠেই “বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ড কাপ” ফুটবল টুর্নামেন্ট এর মত খেলা আয়োজন করা হয়। আর তাই লেখা পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও বিনোদনে মেধা বিকাশ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করেন সুশিল সমাজ।