বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : কলাপাড়ায় নির্মানাধীন পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাঙ্গালী ও চায়না শ্রমিক অসন্তোষের জের কাটিয়ে দীর্ঘ পনের দিন পর কাজে যোগ দিয়েছে বাঙ্গালী শ্রমিকরা।
বুধবার (০৩ জুলাই) সকাল থেকে সেফটি ড্রিল প্রশিক্ষণ শেষে তিন’শ আটজন বাংলাদেশী শ্রমিক চায়নাদের সাথে একযোগে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন বিসিপিসিএল কর্মকর্তারা।
প্রকল্পের নিবার্হী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল খান জানিয়েছেন, বাঙালী শ্রমিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হচ্ছে, যাতে কেউ ভুয়া পরিচয় পত্র দিয়ে কাজ করতে না পারে। প্রায় সাত হাজার শ্রমিকের যাচাই বাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষ করতেসময়ের ব্যাপার তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে নির্বাচিত শ্রমিকের মধ্যে বুধবার সকাল ছয়টায় তিনশত আট জন বাংলাদেশী শ্রমিক পুর্বের মতো সেফটি ড্রিল প্রশিক্ষণ শেষে চায়নাদের সাথে একযোগে কাজে যোগ দিয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক (প্রধান প্রকৌশলী) শাহ্ আবদুল মওলা বলেন, অন্যান্য শ্রমিকরাও খুব দ্রুত কাজে যোগ দিবেন তবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স থাকা বাধ্যতামূলক, এ ব্যাপারে প্রশাসন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য গত ১৮ জুন পাওয়ার প্লান্টের অভ্যন্তরে বয়লার থেকে পরে বাঙ্গালী শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চায়না এবং বাংলাদেশী শ্রমিকের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে চায়না শ্রমিক জাং ইয়াং ফাংয়ের(২৬) মৃত্যু হয়। এতে পরিস্থিতি ভয়ংকর হয় প্রকল্প এলাকায়। লুটপাট সহ ভাংচুর করা হয় পাওয়ার প্লান্টের অভ্যন্তরে। পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা কয়েক দফা বৈঠকের পরে আইন শৃংখলা বাহিনির সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হলে গত ২১ জুন চায়না শ্রমিকরা
কাজে যোগ দিলেও বাংলাদেশী শ্রকিদের পনের দিনের ছুটি ঘোষনা করা হয়। চায়না শ্রমিক নিহত, পাওয়ার প্লান্টের অভ্যন্তরে ভাংচুর এবং লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত প্রায় ছয় শত বাংলাদেশী শ্রমিককে আসামী করে এনইপিসির সেফটি ডিরেক্টর ওয়াং লিং বিং কলাপাড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। এদের মধ্যে ১৬ বাংলাদেশী শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ মামলায় অভিযুক্ত ছাড়া সকল শ্রমিকরাই পর্যায়ক্রমে পুনুরায় কাজে যোগ দিবেন বলে জানিয়েছেন বিসিপিসিএল কর্মকর্তারা।