ঝালকাঠির বিসিক শিল্পনগরী ঘুরে দাড়াচ্ছে, বছরখানেক আগেও এখানে খালি মাঠে গরু চড়ানো হতো, কিন্তু সে অবস্থা এখন আর নেই। বিভিন্ন কলকারখানার নির্মাণ কাজ চলছে এখন সেখানে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনও শুরু করেছে।
বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখনও যে প্লটগুলো বরাদ্দ হয়নি, তা আগামী মিটিংয়ের মধ্যেই বরাদ্দ হয়ে যাবে। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ঝালকাঠি-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ১১.০৮ একর জমিতে উদ্বোধন করা ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরী। ২০১৯ সালের জুন মাসে সম্পন্ন হয় বিসিক শিল্প নগরীর কাজ। বরাদ্দের জন্য চার ক্যাটাগরীতে ৭৯ টি প্লট করা হয়। কিন্তু শুরুর দিকে জমির মূল্য বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিসিকের প্লট নিতে আগ্রহ দেখায়নি। পরবর্তীতে প্লটের মূল্য পুন:নির্ধারন করা হয়। বর্তমানে সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাড়াচ্ছে ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরী। ইতোমধ্যে ৩৬টি প্লট বরাদ্দ হয়ে গেছে।
বিসিক সূত্রে জানা যায়, বাকী প্লটগুলোও শিঘ্রই বরাদ্দ হয়ে যাবে।
সরোজমিন ঝালকাঠি বিসিক শিল্পনগরীতে গিয়ে দেখা যায়, এখানে বেশ কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ চলছে। ৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে উৎপাদন ও বিপনন শুরু করেছে। এদিকে বিসিক শিল্পনগরীতে নতুন নতুন কলকারখানা হলে এখানে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, বিসিক শিল্পনগরী নিয়ে প্রথমে তারা হতাশ ছিলেন। বছর খানেক আগে এখানে শুধুমাত্র একটি প্রতিষ্ঠান বাদে আর কোন প্রতিষ্ঠান ছিলোনা। এখন নতুন নতুন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্লট বরাদ্দ নেয়ায় তারা আশাবাদী।
এখানে প্লট বরাদ্দ নেয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, তারা দ্রুত তাদের নির্মাণ কাজ শেষ করে উৎপাদনে যাবে। এক্ষেত্রে তারা বিসিক কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেছেন।
মোঃ শাফাউল করিম বিসিক ঝালকাঠি জেলার উপ-ব্যবস্থাপক জানালেন, খুব শিগ্রই বিসিকের বাকি প্লটগুলোও বরাদ্দ হয়ে যাবে। এখানে ভালো ভালো উদ্যোক্তারা আসছেন। শিঘ্রই ঝালকাঠি বিসিক একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্প নগরী হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।