রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স:চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে এসি মিলান। জুভেন্টাস, ইন্টার মিলানের মতো দলকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষেও উঠে গেছে একসময়ের ইউরোপিয়ান জায়ান্টরা।
তাই বলে ২১ বছরের রাফায়েল লিয়াও যা করলেন তা হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সর্বশেষ ম্যাচের প্রতিপক্ষ সাসসুয়োলো।
রোববার সাসসুয়োলোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে এসি মিলান। তবে ম্যাচের শুরুতে লিয়াওর ওই আচমকা গোলটাই ছিল আসল চমক। ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজার পর দুই দলের খেলোয়াড়রা তখনও পজিশনেই যাননি। ব্রাহিল দিয়াজ বল দিলেন চানহানলুর কাছে।
দিয়াজ অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে বল ফেরত চাইছিলেন, কিন্তু চানহানলু না থেমে প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ বল বাড়িয়ে দেন লিয়াওর দিকে। বল ধরে এক দৌড়ে বক্সে ঢুকেই শট নিলেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সাসসুয়োলো গোলরক্ষক আন্দ্রেয়া কনসিলি হতভম্ব হয়ে দেখলেন কীভাবে বল জালে চলে যাচ্ছে। তখন মাত্র ৬.২ সেকেন্ডের খেলা চলে!
লিয়াওর সতীর্থরাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে বল এত কম সময়ে জালে প্রবেশ করেছে। পরে জানা গেল, সিরি ‘আ’র ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম গোল। ১৯ বছর আগে ২০০১ সালে ফিওরেন্টিনার বিপক্ষে পিয়াচেঞ্জার হয়ে পাওলো পজ্ঞির ৮.১ সেকেন্ডে করা গোলটি এতদিন শীর্ষে ছিল। আরও কিছুক্ষণ পর জানা গেল, ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগেই লিয়াওর চেয়ে দ্রুততম সময়ে আর কেউ গোল করতে পারেননি।
লা লিগায় এ রেকর্ডর মালিক হোসেবা ইয়োরেন্তে। ২০০৮ সালে এসপানিওলের বিপক্ষে ম্যাচের ৭.৮ সেকেন্ডে গোল করেছিলেন রিয়াল ভায়াদোলিদ তারকা। বুন্দেসলিগায় দ্রুততম গোলের রেকর্ড ৯.২ সেকেন্ডের। ২০১৪ সালে বায়ার লেভারকুসেনের করিম বেলারাবিও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে এই গোলটি করেছিলেন।
ফ্রেঞ্চ লিগের সবচেয়ে দ্রুতগতির গোলের মালিক কাঁর মিকেল রিও। কানের বিপক্ষে ১৯৯২ সালে ম্যাচের ৮ সেকেন্ডেই গোল করেছিলেন তিনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ডটি ২০১৯ মৌসুমের। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭.৬৯ সেকেন্ডে লক্ষ্যভেদ করছিলেন সাউদাম্পটনের শেন লং।