শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধিঃ ১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য, সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী ও ভোলা ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপির সুযোগ্য পুত্র, ভোলা জেলা আওয়ামী সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক, মইনুল হোসেন বিপ্লব। তার ঐ বক্তব্যকে কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজস্ব রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষে সামাজিক মাধ্যম সব বিভিন্নভাবে অপব্যখ্যা গুজব ছড়িয়ে উপস্থাপন করা হয়। যেখানে রাজনৈতিক শ্রদ্ধাবোধ থেকেই পজেটিভ বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা দেয়ায়,মইনুল হোসেন বিপ্লব ব্যক্তিগত ভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। ২০মিনিটের দেয়া ঐ বক্তব্য তিনি ভিডিও ভাইরাল টিতে চলমান বঙ্গবন্ধুর ভাষ্কর্য ভাংচুরের বিরোধীদের নিয়ে,তার কঠোর হুশিয়ারী এবং এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ মুলক বক্তব্য শোনা যায়। পাশাপাশি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর শেখ হাসিনার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে গঠনমূলক আলোচনাও তার বক্তব্য উল্লেখযোগ্য। তবে তার নিজ রাজনৈতিক পারিবারিক শ্রদ্ধাবোধ থেকে দেয়া ব্যাখ্যাটিকে কয়েকটি মহল অপব্যাখ্যা দেয়ায় নিয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। মইনুল হোসেনের দুঃখ প্রকাশের স্টাটাস হুবহু নিন্মে তুলে ধরা হলোঃ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ভোলা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় আমার বক্তব্যে একটি বিষয়ে বলতে গিয়ে সাবেক সফল পানিমন্ত্রী জাতীয় নেতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক কাকার সুযোগ্য সন্তান মাননীয় সংসদ সদস্য জনাব নাহিম রাজ্জাক ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের দৌহিত্র ও মাননীয় সংসদ সদস্য শ্রদ্ধেয় শেখ হেলাল মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান মাননীয় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় মহোদয়ের উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছিলাম তারা কিভাবে এমপি হলেন মানে মূল্যায়ন কি ছিল। বুঝাতে চেয়েছি তারা দুজনই রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আর রাজনীতিবীদের ঘরে রাজনীতিবিদের জন্ম হয়। তাদের রাজনীতির হাতেখড়ি পরিবার থেকে হয়। তাদের পরিবার যতদিন দেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে জেলজুলুম অত্যাচার সহ্য করেছেন সেই কষ্ট তার পরিবারের সকল সদস্য ভোগ করেছেন। শেখ তন্ময় ভাইয়ের শ্রদ্ধেয় দাদা ১৫ ই আগস্টে জাতির পিতার পরিবারে সদস্যদের সাথে শহীদ হয়েছিলেন, দেশের জন্য জীবন দিয়েছিলেন। আমার বলার উদ্দেশ্য ছিল এই দুই পরিবার তাদের সন্তানদেরকে এমনভাবে প্রস্তুত করেছেন যে দলের প্রয়োজনে দেশের প্রয়োজনে তারা যেকোন দায়িত্ব নেয়ার জন্য উপযুক্ত।একারণেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ তাদের পরিবারকে ও যোগ্যতাকে মূল্যায়ন করেছেন। আজ তারা নিজগুনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছেন। কিন্তু দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় কিছু ব্যক্তি আমার বক্তব্যের ভুল বিশ্লেষণ করে একটি বিভেদ তৈরি করার ষড়যন্ত্র করছেন। আমার দুইজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্বকে মূল্যায়ন করা ও বড় করাই ছিল আমার মূল উদ্দেশ্য। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হয়ে আমি কখনোই আমার দলের গর্ব আমার পছন্দের দুইজন মাননীয় সংসদ সদস্যকে হেয় করার দুঃসাহস দেখাতে পারিনা। তারপরেও আমার বক্তব্যে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে তার জন্য আমি দুঃখিত। আশা করি আমার এই বক্তব্যের পর সকল ভুলবোঝার অবসান হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক জননেত্রী শেখ হাসিনার ।