শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলে সহায়তার দায়ে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি সড়ক সংস্কারের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল বাড়িতে ছাগল ঢোকাকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশীর সংঘর্ষ, আহত-৪ বরিশালে ৬ দফা দাবিতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ বরিশালের জেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে উৎস করের নির্ধারিত ফি কম নিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রেশন করার প্রমান পেয়েছে দুদক কলাপাড়ায় কৃষকদের অবস্থান ধর্মঘট ও স্মারকলিপি প্রদান কলাপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিএনপি কার্যালয়সহ ৫টি দোকান ভস্মীভূত কলাপাড়ায় ইউনিয়ন বিএনপির বর্ষবরণ অনুষ্ঠান বাউফলে সড়ক সংস্কারের দাবিতে স্থানীয়দের মানববন্ধন বছরের প্রথম দিনেই বিচ্ছিন্ন দীপ অঞ্চলে সহকারী পুলিশ সুপার বাউফলে গাঁজাসহ ২৫ লাখ টাকা ও স্বর্নালংকার উদ্ধার নববর্ষে দেশীয় খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় পা ভেঙ্গে দিলেন বিবাদীরা ভারতের সাথে মিল রেখে মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা কলাপাড়ায় নানা আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

Sharing is caring!

এম এইচ ফাহাদঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলা জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোলা জেলার আয়োজনে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি ব্যান্ডের তালে তালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অংশগ্রহণে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা: মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার পিপিএম, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিতত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো. অহিদুর রহমান প্রমুখ।

র‌্যালিতে ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, তানজিল হোসেন, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিল। ভোলার দেউলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ভোলা জেলা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD