শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
মহিপুরে স্ত্রী’র স্বীকৃতির দাবিতে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন সরকারি সুবিধা প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইউপির সদস্যের বিরুদ্ধে মানববন্ধন একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে একদিকে যেমন আনন্দ অন্যদিকে ঘোর অন্ধকার কুয়াকাটায় উৎসবমুখর পরিবেশে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত কলাপাড়ায় ৯ হাজার ৪৭০ জন কৃষককে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অসহায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পাশে  ‘লাভ ফর ফ্রেন্ডস’ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সদর উপজেলা যুবদলের ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প বঙ্গোগসাগরে ঘূর্নিঝড় মোন্থা,পায়রা বন্দরে ০২ নম্বর হুশিয়ারী সংকেত মহিপুরে রাখাইন শিশুদের অংশগ্রহণে বাতিঘর’র বৃক্ষ রোপণ বাউফলে বিএনপি নেতা তসলিম তালুকদারের বিরুদ্ধে ভূমিহীনদের মানববন্ধন বরিশালে প্রায় দেড় কোটি টাকার নকল সিগারেট জব্দ গণ ধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও আদালতে হত্যা মামলায় চার্জশিট গলাচিপায় ৬ পরিবার ভিটে বাড়ি ছাড়া নগরীতে প্রবাসী স্ত্রীর জমি দখলে প্রতিপক্ষ মরিয়া বসতঘর ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগে মামলা বাংলাদেশ বানীর শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু
র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

Sharing is caring!

এম এইচ ফাহাদঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলা জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোলা জেলার আয়োজনে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি ব্যান্ডের তালে তালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অংশগ্রহণে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা: মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার পিপিএম, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিতত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো. অহিদুর রহমান প্রমুখ।

র‌্যালিতে ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, তানজিল হোসেন, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিল। ভোলার দেউলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ভোলা জেলা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD