শনিবার, ০৫ Jul ২০২৫, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
কলাপাড়ায় ফল উৎসব, কৃষক বাজার  ও শিশু পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কলাপাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুমনের সদস্য সচিব পদ স্থগিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন চাঁদাবাজ দখলবাজ এবং দুর্নীতিবাজ মুক্ত মেহেন্দিগঞ্জ গড়তে চাই ।। মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ বিসিসি’র ২২নম্বর ওয়ার্ডের সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান বাউফ‌লে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে কুপিয়ে হ-ত্যা চাঁদাবাজ দখলবাজদের বিরুদ্ধে লিখনি বজায় রাখবে বাংলানিউজ – মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ কলাপাড়ায় দুই এইচএসসি পরীক্ষার্থী বহিস্কার সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা শিক্ষাবোর্ড কর্মচারী বড় সিরাজের দলবদল পরিক্রমা শের-ই বাংলা মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগ পূর্বের স্হানে ফিরিয়ে নেয়ার দাবীতে মানববন্ধন বরিশালে ছাত্রশিবিরের “সাথী শিক্ষা বৈঠক–২০২৫” অনুষ্ঠিত অসুস্থ শ্রমিকদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন ফয়েজ খান কুয়াকাটায় অতিরিক্ত মদপানে পর্যটকের মৃত্যু সরকারি সৈয়দ হাতেমআলী কলেজের বিএ অনার্স (২০১৯-২০) এর শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত বরিশালে কাশিপুর ও বাঘিয়ায় সক্রিয় অপরাধীরা, প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন
র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

র‍্যালী ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে ১০ ডিসেম্বর ভোলা পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালিত।

Sharing is caring!

এম এইচ ফাহাদঃ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ভোলা জেলা হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভোলা জেলার আয়োজনে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

র‌্যালিটি ব্যান্ডের তালে তালে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অংশগ্রহণে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। পরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা প্রশাসক মোহা: মাসুদ আলম ছিদ্দিক, ভোলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মমিন টুলু, ভোলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার পিপিএম, ভোলা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান মো: মোশারেফ হোসেন। এসময় আরো উপস্থিতত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দোস্ত মাহামুদ, ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, উপজেলা কমান্ডার মো. অহিদুর রহমান প্রমুখ।

র‌্যালিতে ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, তানজিল হোসেন, সদস্য সচিব আদিল হোসেন তপুসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার মুক্ত হয় ভোলা। এপ্রিলের শুরুর দিকে ভোলা ওয়াপদা ভবনে ক্যাম্প করে অবস্থান নেয় পাক হানাদার বাহিনী। ওই ভবনের ২টি কক্ষকে টর্চার সেল বানিয়ে নিরীহ মানুষ কে ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হত। ওয়াপদা ভবনের পাশেই রয়েছে বধ্যভূমি যেখানে শতশত মুক্তিপাগল মানুষকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়া হয়ে ছিল। ভোলার দেউলা, বাংলাবাজার এবং দৌলতখানের গুপ্তেরগঞ্জ বাজারে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পাকসেনাদের মনোবল ভেঙ্গে পরে। ভোলার মুক্তিযোদ্ধারা চারদিক থেকে ঘিরে শহর দখলের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। এমন সময়ে ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যর্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেওয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়। পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত হয় ভোলা জেলা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD