রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন
বুধবার রাত ১০ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত এক ঘন্টা মায়ের লাশ নিয়ে থানায় অবস্থান করার পরেও মামলা নিলেন না ওসি। উল্টো প্রতিপক্ষের দেয়া মামলায় তাকে সহ তার বাবাকে আসামী করা হয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন নিহত গৃহবধূ সাফিয়া বেগমের (৫৫) ছেলে কাছিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এন্তাজুল হক শাহিন গাজী।
শাহীন গাজী জানান, ত্রাণের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি নিয়ে সোমবার প্রতিপক্ষ কাছিপাড়া ইউনিনের মান্দারবন গ্রামের ইউপি সদস্য এনায়েত হোসেন খোকনের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে খোকন ও তার লোকজন তাকে মারধর করেন। এ খবর পেয়ে তার মা সাফিয়া বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাকেও মারধর করা হয়। এ সময় সাফিয়া বেগমের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়।
ওই দিন তার মাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করেন। এরপর তার মাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার দিবাগত ভোর রাত ৪টার দিকে তিনি মারা যান। বিষয়টি তিনি বাউফল থানার ওসিকে অবহিত করেন। এরপর বুধবার পোষ্টমর্টেম শেষে রাত ১০টার দিকে লাশ নিয়ে বাউফল থানায় আসেন এবং মামলা করার জন্য তিনি ওসির কক্ষে যান। কিন্তু ওসি মামলা নিতে গরিমসি শুরু করেন।
এভাবে প্রায় ১ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর ওসি মামলা নেয়ার কথা বলে লাশ বাড়ি নিয়ে দাফন করতে বলেন এবং বৃহস্পতিবার সকালে থানায় আসার আগে তাকে ফোন দিয়ে আসতে বলেন।
তার কথা অনুযায়ি রাত ১১টার দিকে থানা থেকে তার মায়ের লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি ওসির মোবাইলে কল দিলে ওসি তাকে আসতে নিষেধ করেন। এরপর ফোন লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে তাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি। পরে খবর নিয়ে জানতে পারেন প্রতিপক্ষ এনায়েত হোসেন খোকন উল্টো তাকে ও তার বাবা চুন্নু গাজীকে (৬৫) সহ বাড়ির ১১জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার থানায় একটি মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,‘ সাফিয়া বেগমের মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।