রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে এরইমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছে ১ হাজার ৩৪৪ জন ব্যক্তি। যারমধ্যে অধিকাংশেই বিদেশ ফেরত বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
১৪ দিন বাড়িতে থাকার পরও এদের কোন শারিরীক অসঙ্গতি দেখা না যাওয়ায় হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ২ হাজার ৮শত জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্য থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৪৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরগুনা জেলায় হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা ৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত বিভাগে কোয়ারেন্টিন থেকে মোট ১ হাজার ৩৪৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠি জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়নি, বাকী ৩ জেলায় ৪৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ১০৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন ও ভোলায় ১ জন আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অপরদিকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, করোনা সন্দেহে হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডগুলোতে রোগী ভর্তি করা হলেও বিভাগের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত এ পর্যন্ত হয়নি। শেবাচিম হাসপাতালে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে।
এদিকে প্রাণঘাতি নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় নির্দিষ্ট কিছু বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ডের মতো করে খোলা হয়েছে। যেখানে জরুরী প্রয়োজন হলে সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দেয়া এবং পর্যবেক্ষনে রাখার কাজটি করা হবে।