শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন
ভাষা শহীদদের স্মরনে বরিশালে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের অংশ হিসেবে শহীদ মিনার নির্মাণ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পাঠাগার যৌথভাবে নগরের রসুলপুরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বিগত ৭ বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও একুশের এই দিনে নগরের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের রসুলপুর চরে ব্যতিক্রমধর্মী শহীদ মিনার নির্মাণের এ প্রতিযোগীতার আয়োজন করে আসছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, আর গত তিন বছর ধরে এ কাজে যুক্ত হয়েছে শহীদ আলতাফ মাহমুদ স্মৃতি পাঠাগার।
আয়োজকরা জানান, চরের সুবিধাবঞ্চিত কয়েকশ শিশু কলাগাছ, কাঠের গুড়ি, ইট, মাটিসহ অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রায় অর্ধশত শহীদ মিনার নির্মাণ করেছে। পরে তারা শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
স্থানীয়রা জানান, শহুরে এই চরে বিয়েসহ বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে যা খুব যাকজমকপূর্ণভাবে গ্রামীন রীতিনীতিতে পালন করা হয়। তবে শহীদ মিনার তৈরির এ প্রতিযোগীতা যেমন চরের বাসিন্দাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়ায়। তাই শিশুদের জন্য আয়োজনটি হলেও অভিভাবকরা সবাই এ কাজে সহায়তা করেন এবং চরের সকল শিশুরাই গত কয়েকবছর ধরে এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছে।
প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিকেলে এক পুরস্কার বিতরনীর আয়োজন করা হয়। যেখানে সেরা ১০ শহীদ মিনার নির্মানকারীকে পুরষ্কার দেয়া হবে।
প্রতিযোগীতার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও পৃষ্ঠপোষক জেলা বাসদের সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, নগরের প্রাণ কেন্দ্রে একুশের চেতনা নিয়ে নানান আয়োজন থাকে কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা এই চেতনার ছোঁয়া কতোটা পাচ্ছে। তাই আমরা চেষ্টা করছি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে একুশের চেতনা সৃস্টি করতে এবং তাদের একুশ সম্পর্কে জানাতে।
সেই চেষ্টার অংশ হিসেবেই রসুলপুরে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন। আমরা বিশ্বাস করি এরমধ্য দিয়ে এই চরের শিশুদের দেশের প্রতি ভালোবাসা ও দেশপ্রেম সৃস্টি হবে।