বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
২৭ বছর পর ভোটে নেই জিয়া পরিবার

২৭ বছর পর ভোটে নেই জিয়া পরিবার

Sharing is caring!

ক্রাইমসিন২৪ ডেস্ক:
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবার থেকে এবারের জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রার্থী নেই। গত ২৭ বছরে (২০১৪ ছাড়া) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবারই প্রথম এই পরিবারের কোনো প্রার্থী ছাড়া ভোট হবে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন আসনে মনোনয়পত্র দাখিল করলেও আদালতে সাজা পাওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে গতকাল।

১৯৯১ সাল থেকে অংশগ্রহণমূলক প্রতিটি নির্বাচনে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া একাধিক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া ফেনী-১ আসন থেকে খালেদা জিয়ার ভাই প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দার নির্বাচন করেন একাধিকবার।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা হওয়ায় এই নির্বাচনে খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় ছিল আগে থেকেই। গুঞ্জন ছিল বগুড়া ও ফেনী থেকে তার দুই পুত্রবধূর (জোবায়দা রহমান ও শর্মিলা রহমান) মধ্যে কেউ, অথবা সাঈদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দার নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ নির্বাচনে আসেননি। ফলে ২৭ বছর পর জিয়া পরিবারের কোনো সদস্য সংসদ নির্বাচনের লড়াই থাকলা না।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সামরিক শাসন জারির করার পর এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে তৎকালীন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ৭ দলীয় জোট এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৮ দলীয় জোট। সাতদলীয় জোটের নেতৃত্বে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।

১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের সময় পরপর দুটি নির্বাচন হলেও বিএনপি তাতে অংশ নেয়নি। ১৯৯০ সালে ৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বগুড়া-৭ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও চারটি আসন থেকে নির্বাচন করেন। সব কটিতেই বিজয়ী হন তিনি। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ারপারসন ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে নির্বাচন করে প্রতিটিতে বিজয়ী হন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে।

ফেনী-১ আসনে ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচন করেন খালেদা জিয়া জয়ী হন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এই আসন থেকে জয়ী হন। ওই বছরের ১২ জুনের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও জয়ী হন। সবশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে এক লাখের বেশি ভোটে পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

২০০১ সালে এই আসন থেকে খালেদা জিয়ার ভাই সাঈদ ইস্কান্দার উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হওয়ার পর থেকে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। এর মধ্যে চ্যারিটাবল ট্রাস্ট মামলাও সাজা হয়েছে তার। বিএনপি শুরু থেকে দাবি করে আসছে, এই দুই মামলার কোনো ভিত্তি নেই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় তাকে মামলায় জড়িয়ে সাজা দেয়া হয়েছে।
বগুড়া-৬ আসনে এবার বেগম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করায় এই আসনে লড়বেন তিনি।

বেগম জিয়ার মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD