মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
বরিশাল ট্রিপল মার্ডার: যেভাবে একে একে তিন খুন

বরিশাল ট্রিপল মার্ডার: যেভাবে একে একে তিন খুন

Sharing is caring!

সৈয়দ মেহেদী হাসান: বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর ট্রিপাল মার্ডার হত্যার ঘটনায় একের পর এক রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। সর্বশেষ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রাবাসী আব্দুর রব ও নিহত মরিয়ম বেগমের পুত্রবধূ মিশরাত জাহান মিশুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আর মিশুকে তিনদিরে রিমান্ডের আবেদন করলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান তা মঞ্জুর করেন। বানারীপাড়া থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনো সম্পূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। তবে দ্রুতই পুরো রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, হত্যাকান্ডের আগে কবিরাজ জাকিরের সাথে প্রবাসীর স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুর ৩/৪বার দৈহিক মেলামেশা হয়। তাও একমাসের মধ্যে। আর সেই কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রবাসী আব্দুর রবের খালাতো ভাই ইউসুফকে চিরতরে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করে জাকির ও মিশু। পরিকল্পনামত ইউসুফকে খুন করার পর মিশুর শ্বাশুড়িকে খুন করে জাকির। ওদিকে শেষ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার অপরাধে তৃতীয় খুনটি করে জাকির, জুয়েল ও মিশু। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য দিয়েছে অভিযুক্ত খুনিরা। যদিও পুলিশের কোন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিভাবে এবং কেন খুন সংঘটিত হয়েছে তা জানায়নি। তবে একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে উল্লেখিত তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বাড়ির মালিক আব্দুর রব ১১ বছর ধরে কুয়েত প্রবাসী। সর্বশেষ ১ বছর আগেও তিনি বাড়িতে আসেন। এখানে তার ঘরে মা (নিহত মরিয়ম বেগম), স্ত্রী (গ্রেফতার হওয়া মিশরাত জাহান মিশু) এবং ১ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তান থাকে। বছর দেড়েক আগে আব্দুর রব গ্রামের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুরে একতলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ভবন নির্মাণে রাজমিন্ত্রী হিসেবে ওই বাড়িতে কাজ করেন ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের বাসিন্দা ও কবিরাজ জাকির হোসেন।
কাজের সুবাদেই জাকির হোসেনের সাথে প্রবাসীর পরিবারের সদস্যদের সাথ সখ্যতা গড়ে ওঠে। পাশাপাশি জাকির হোসেন জ্বীন-পরীর কথা বলে ঝাঁড়-ফুক দিয়ে নানান রোগের সমাধান করতো বলে এলাকায় প্রচার করে। কয়েকমাস পূর্বে প্রবাসীর স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুর লিভারে সমস্যা দেখা দিলে জাকির হোসেনই তাকে সালসা এনে দেয়। তাছাড়া জাকির জ্বিনের মাধ্যমে তদ্বীর দেয়ার কথা বলে ৬ হাজার টাকা চুক্তি করে।

এসময় মিশুর দেবরের মেয়ে কলেজ ছাত্রী আছিয়ার বিয়ে ও বিয়ের পরে বাচ্চা হবে না বলে জানিয়ে তাকেও জ্বীন মারফত তদ্বির দেয়ার কথা বলে আড়াই হাজার টাকা চুক্তি করে। তবে আছিয়ার পিতার সামর্থ না থাকায় সে দিতে পারবে না বলে জানলে, জাকির জ্বীন-পরীর দোহাই দিয়ে বিনামূল্যে তদ্বির দেয়ার কথা বলে।

এভাবে জ্বীন-পরীর ভর করাসহ নানান অযুহাতে মিশুর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে জাকির। তবে মাসখানেক পূর্বে মিশুর দেবর ও প্রবাসী আব্দুর রবের খালাতো ভাই ইউসুফের একটি মোবাইল সেট হারিয়ে গেলে জ্বীনের সাথে কথা বলে তা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয় জাকির হোসেন। এজন্য তৎবীর দিতে তাবিজ দেয়াসহ রাতে প্রবাসী আব্দুর রবের বাড়ির ছাদের দরজা খুলে রাখাসহ নানান কথা বলে জাকির। এদিকে কিছুদিন আগে মিশরাত জাহান মিশুকে ভন্ড ফকির জাকির হোসেনকে জড়িয়ে ধরতে দেখেন ইউসুফ। যা দেখার পর বিষয়টি ইউসুফ বাড়ির কিছু লোকের সাথে আলাপ করেন। যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন মিশু এবং ভন্ড ফকির জাকির। তখন জাকিরকে মিশু বলেন ইউসুফকে চিরতরে সরিয়ে ফেলার জন্য। পাশাপাশি শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকেও শায়েস্তা করার জন্য সাহায্য চান মিশু।

সেই সূত্র ধরে হত্যাকান্ডের রাতে ইউসুফকে প্রবাসীর বাড়িতে বিভিন্ন অজুহাতে পাহারা দিতে থাকতে বলা হয়। পরিকল্পনার ফাঁদে পা দিয়ে ওই রাতে ইউসুফ আব্দুর রবের বাড়িতে পাহারা দিতে আসেন। সবাই রাতের খাবার খাওয়ার পরে আছিয়াকে দিয়ে ঘরের প্রধান দরজা বন্ধ করান মিশু। সবাই শুয়ে পড়লে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে মিশু গিয়ে দরজার ছিটকিনি খুলে রেখে আসেন।
ওদিকে পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যা পার হওয়ার পর বরিশাল নগরের কাউনিয়া থানাধীন কাগাশুরা এলাকা থেকে অটোরিক্সা চালক জুয়েলকে নিয়ে সলিয়াবাকপুর পৌছান জাকির। রাত বাড়লে জুয়েলকে ওই প্রবাসীর বাড়ির ভিতরে টিউবয়েলের কাছে বসিয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। তখনও কিছু জানতেন না জুয়েল। মিশুর খুলে রাখা দরজা দিয়ে জাকির প্রবেশ করে প্রথমেই ইউসুফের ঘরে যান। সেখানে মুখ চেপে বুকের ওপর বসে মাফলার পেচিয়ে হত্যা করেন ইউসুফকে। ইউসুফের লাশ সেখানে রেখে মিশুর নির্দেশনা অনুসারে তার শ্বাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে ‘শায়েস্তা’ করতে পাশের ঘরে ঢোকেন। সেখানে মরিয়ম বেগম ও তার নাতনী আছিয়া একই খাটে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। গভীর ঘুমে অছিয়ার পাশেই একই কায়দায় মাফলার পেচিয়ে হত্যা করা হয় প্রবাসী আব্দুর রবের মা মরিয়ম বেগমের।

এরপর জুয়েলকে বাইরে থেকে ডেকে আনেন জাকির। জুয়েল লাশ দেখে প্রথমে থমকে গেলেও জাকিরের কথায় আশ্বস্ত হন। তারা নিহত ইউসুফের লাশ হাত পা বেধে ঘরের অদূরে পুকুরের ঘাটলায় নিয়ে ফেলে আসে। তারপর ঘুমন্ত আছিয়ার পাশ থেকে নিহত মরিয়ম বেগমের লাশ নিয়ে রাখে সামনের বারান্দায়। এরপর মিশুকে ডেকে বের করেন তার কক্ষ থেকে। মিশু গিয়ে আছিয়াকে ঘুম থেকে তুলে তার কক্ষে ৩ সন্তানের সাথে ঘুমাতে বলে। তারপর খুনে সহায়তা করায় জুয়েলকে পারিশ্রমকি দিতে বলেন জাকির। কথামত জুয়েলের বিকাশে রাত ৪টা ২১ মিনিটে ৫ হাজার টাকা পাঠান মিশু। এরপর মিশুকে উলঙ্গ করে জড়িয়ে ধরেন জাকির আর নিহত মরিয়ম বেগমের এনড্রয়েড মোবাইল দিয়ে জুয়েলের দ্বারা সেই আপত্তিকর ছবি তোলায় জাকির। এরপর জাকির আছিয়া ও মিশুকে কোরআন শরিফ দিয়ে শপথ করান-যেন এই কথা কারও কাছে না বলেন। তাছাড়া কেউ জানতে চাইলে প্রচার করতে বলেন, জ্বীনে রাগ করে মরিয়ম ও ইউসুফকে মেরে ফেলে রেখে গেছে। ঘরের মধ্যে যখন দুটি খুনের বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার পরিকল্পনা শেষ ঠিক তখন পাশের ঘরে কাশি দিয়ে জেগে ওঠেন শফিকুল ইসলাম। তিনি দুইদিন আগে ঢাকা চিকিৎসা করানোর জন্য আব্দুর রবের বাড়িতে এসেছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে জাকির জানিয়েছে, শফিকুল মাস্টারকে খুনের কোন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ইউসুফ ও মরিয়মকে হত্যার ঘটনা সে জেনে যেতে পারে বলে সন্দেহের বশে তাকেও খুন করে জাকির। তবে জাকির মাস্টারকে খুন করতে জাকিরের পাশাপাশি জুয়েল ও মিশু সহায়তা করে বলে জানা গেছে। একে একে তিনটি খুনের পর অছিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করার জন্য হাত ধরে ছাদে নিয়ে যাচ্ছিলেন জাকির। কিন্তু আছিয়া হাত ছুটিয়ে রুমে ফিরে এসে কক্ষ আটকে দেয়।

সূত্র বলছে, তিনটি খুনের পর ভোরে গাড়িযোগে বরিশাল চলে আসেন জাকির ও জুয়েল। সেখানে এসে জুয়েল কাউনিয়ার কাগাশুরায় চলে যান। আর জাকির অপেক্ষা করেন লঞ্চঘাট এলাকায়। ওদিকে রবের বাড়িতে খুনের ঘটনা জানাজানি হলে কেউ একনারী জাকিরকে মোবাইলে জানায় লাশ পাওয়ার তথ্য। এরপর জাকির আবার সেই বাড়িতে ফিরে যান। সেখানে গিয়ে কান্নাকাটিও করেন জাকির। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে সন্দেহ হলে জাকিরকে আটক করে পুলিশ। এরপর আছিয়াকে হেফাজতে নিলে বেরিয়ে আসতে থাকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

কে এই জাকির?
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত জাকির হোসেন নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠী ইউনিয়নের রাজপাশা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে সবাই পান জাকির নামে চেনে। কারণ জাকির প্রচুর পান খায়। রাজপাশা গ্রামের রত্তন মাঝি সর্ম্পকে তার নানা হয়। মূলত নানা বাড়িতে থেকেই জাকির বড় হয়েছে। কিন্তু তার পিতার বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগীতে। পিতার মৃত্যুর পর মায়ের সাথে নলছিটির নানার বাড়িতে এসে আশ্রয় নেয় জাকিরের মা। জাকিরের আরও এক ভাই রয়েছেন জাফর। নানা বাড়িতে জমি নিয়ে বিরোধ চলায় জাফর বরিশালের কাশিপুরে বসবাস করেন। আর জাকিরের মা কাশিপুরের গাজী কালুর দরগাহে থেকে ধর্ম পালন করেন। স্থানীয়রা জানিয়েছে, তরুন বয়স থেকেই জাকির নারী আসক্ত ছিল। এ ছাড়া এলাকায় আর কোন উগ্র কর্মকান্ডের কথা শোনা যায়নি। জাকির ইতিমধ্যে চারটি বিয়ে করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যারমধ্যে দুই স্ত্রী এখন তার রয়েছে। দুই সংসারে তার ১৮, ৭ ও ৫ বছরের তিনজন সন্তান রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পক্ষ নলছিটিতে মাঝি বাড়িতে রয়েছে। আর তার পরের স্ত্রী একই ইউনিয়নের ক্ষিড়াকাঠি গ্রামে থাকেন। এছাড়া কয়েক বছর আগে ঢাকায় একটি এবং বরিশালে আরও একটি বিয়ে করেন জাকির। পেশায় সুনির্দিষ্ট কোন কাজ না করলেও কখনো অটো চালক, কখনো রাজমিস্ত্রীর সহযোগী আবার কখনো কবিরাজী করে জীবীকা নির্বাহ করতেন। এলাকাবাসী জানিয়েছে, কথাবার্তায় খুব চটপটে ও বড়দের সম্মান না দেওয়ায় অধিকাংশ মানুষের সাথে সুসর্ম্পক ছিল না। তবে কথার জালে মানুষকে সহজেই বশ করতে পারতো। ওদিকে রাজমিস্ত্রীর সহযোগী কাজ করতে গিয়ে বানারীপাড়ার প্রবাসী আব্দুর রবের স্ত্রী মিশরাত জাহান মিশুকে প্রথমে ধর্মবোন ডাকে। এরপর থেকে একটু একটু করে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে সর্বশেষ দৈহিক সর্ম্পক স্থাপন করে এবং পরকীয়ায় রুপ নেয়। সেই ঘটনা জানাজানি হলে ইজ্জত বাঁচাতে শুরু হয় হত্যার নৃশংসতা। ওদিকে জাকিরের সহযোগী জুয়েলের স্ববিস্তারের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ভোর রাতে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর গ্রামে কুয়েত প্রবাসী আব্দুর রবের বাড়ী থেকে তার মা মরিয়ম বেগম (৭০), মেজ বোন মমতাজ বেগমের স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শফিকুল আলম (৬০) ও খালাতো ভাই মো. ইউসুফ (২২) এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD