বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল থেকে রক্ষা পেতে পটুয়াখালীতে ৬৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর ও দুমকি উপজেলার কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবেশ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানলেও প্রাণহানি এড়াতে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুল থেকে রক্ষা পেতে পটুয়াখালীতে ৬৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (০৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর ও দুমকি উপজেলার কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রের পরিবেশ, নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন করেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আঘাত হানলেও প্রাণহানি এড়াতে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান, জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ ও সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার ভবন রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও সেখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষের দেখভালসহ যাবতীয় কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
নারী, শিশু ও জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করছে পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
তিনি আরও বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ ৬টি উপজেলার সকল জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টসহ সব সংস্থা কাজ করছে।
এরইমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা মানুষদের স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা শুকনো খাবার বা রান্না করা খিচুরি সরবরাহ শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সরকার।
এছাড়াও দূর্যোগ পরবর্তী সেবাদানের জন্য ৩শ মেট্রিকটন চাল, ১৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, ১৬৬ বান্ডিল টিন এবং ৪৬৩০টি কম্বল, শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ ও গবাদি পশু খাদ্য বাবদ এক লাখ টাকা এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এসব এলাকার নিন্মাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুটের অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়ার আগ পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।