শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন
কুষ্টিয়া: ছাত্রলীগের নেতাদের পিটুনিতে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে বাধা দিয়েছে পুলিশ। পরে ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা অংশের টোল প্লাজা থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়।
জানা যায়, আমান উল্লাহ আমানের গাড়ি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লালন শাহ সেতুর ভেড়ামারা টোল প্লাজায় পৌঁছায়। সেখান থেকে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পুলিশের বাধায় গাড়িটি পুনরায় ঢাকার অভিমুখে ফিরে যায়।
এসময় বিএনপি নেতারা বলেন, “কুষ্টিয়া লালন শাহ সেতুতে পুলিশ আমাদের বাধা দিয়েছে। আমরা জাতিকে জানাতে চাই আবরার জাতির সম্পদ।”
আমান উল্লাহ আমান বলেন “কেন্দ্র ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে আমরা এসেছি। আমরা জেলা বিএনপির কার্যালয় এবং আবরাবের বাড়িতে যাবো। তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলবো। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাদের পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যেতে না দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, সংবিধানকে অমান্য করা হচ্ছে।”
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, জেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী রুমি, সাধারণ সম্পাদক সোহবার উদ্দিন।
এসময় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আল বেরুনি, ভেড়ামার থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৯ অক্টোবর (বুধবার) নিহত আবরার ফাহাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে এবং ফাহাদের কবর জিয়ারত করতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আসেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। ফাহাদের গ্রামের বাড়িতে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন তিনি। পরে পুলিশের সহায়তায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরে যান।
৬ অক্টোবর (রোববার) রাতে বুয়েটের ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের ২য় বর্ষ ও শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরার ফাহাদকে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী। এরপর তাকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।