শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ নাসির উদ্দিন,পটুয়াখালী (গলাচিপা) প্রতিনিধিঃ
মুসলিম ঐতিহ্যের প্রাচীন ও অন্যতম নিদর্শন এক গম্বুজ বিশিষ্ট গুরিন্দা জামে মসজিদ।
এটি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নে উলানিয়া সড়কেড় পূর্ব পাশে অবস্থিত।
প্রয়োজনীয় সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আজ তা ধ্বংসের পথে। ধারণা করা হচ্ছে,প্রাচীন কালের স্বাক্ষী গুরিন্দা জামে মসজিদ বাকলা চন্দ্রদ্বীপ মুসলিম আধিপত্যের প্রায় সূচনাল লগ্নে নির্মিত হয়েছিল।
প্রায় ১৫৮৪ সালে এক প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস এর অনেক আগেই গুরিন্দা জামে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। আবার অনেকে জানান, এ অঞ্চলে মুসলমানদের আগমন ঘটে ১৪৬৫ খ্রিস্টাব্দে সুলতান মোবারক শাহের চন্দ্রদ্বীপ বিজয়ের আগে। তখন হয়তো নির্মান করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মসজিদের মূল ভবনটি প্রায় ৩৬০ বর্গফুট ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বর্গাকৃতির। এর উচ্চতা প্রায় ১৬ ফুট। এটি একটি একতলা মসজিদ। একটি মাত্র গম্বুজ থাকায় এক গম্বুজ মসজিদই বলেই চিনে থাকে।
মসজিদটি ভূমি থেকে প্রায় চার ফুট উঁচু তে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির দক্ষিণের অদূরে রয়েছে একটি বৈঠকখানা। যা সত্যিই দৃষ্টি নন্দিত।
প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে মসজিদটি । তাই খুব দ্রুত মসজিদের সংস্কার করা না হলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে প্রাচীন কালের স্বাক্ষী এই মসজিদটি।
এ বিষয়ে রতনদী তালতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা খানেরর সাথে আরাপকালে জানান, এই মসজিদটি অনেক পুরনো এবং জমিদারদের করা। সংস্কার করা হলে মসজিদটি আবার পূর্ণ জীবন ফিরে পাবে।
এ বিষয়ে গলাচিপ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাকিল খান বলেন, এই গুরিন্দা বাজার মসজিদটি সংস্কার করা হলে মুসল্লীরা ফিরে পাবে ১০০ বছরের সেই পুরনো স্মৃতি।
প্রাচীন কালের সাক্ষী এই মসজিদটির দ্রুত সস্কার না হলে খুব শীগ্রই তা কালের বিবর্তেন হারিয়ে যাবে বলে মনে করেন এলাকাবাসি।
সম্পাদনায়: জিয়াউল করিম মিনার