বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
হারানো সন্তানকে ফিরে পেতে মায়ের আর্তনাদ মহিপুরে দেড় হাজার গ্রামবাসীর সুবিধার্থে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ কেন্দ্র উদ্বোধন বরিশালের গৌরনদী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুরের পৈত্তিক বাড়ি এখন টর্চার সেল, মুখ খুললেন নেতারা গলাচিপায় কোমলমতি শিশুদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ গলাচিপায় দুর্বৃত্তের বিষ প্রয়োগে ১০ লক্ষ টাকার মাছ নিধন বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৮৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ॥ শীর্ষে পিরোজপুর জেলা বরিশালে বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বরিশালে আড়াই বছরের সাজার ভয়ে ১৬ বছর পলাতক বরিশাল জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার ফ্রিল্যান্সিং এর নামে ডিজিটাল প্রতারণা, ফাঁদে পড়েছেন শতশত নারী শিক্ষার্থী জাগতিক পাপ মোচন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কুয়াকাটা সৈকতে সনাতনীদের গঙ্গাস্নান কলাপাড়ায় কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, কলাপাড়ায় ১০ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল টুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী যারা হলেন বরিশালে পল্লি বিদ্যুৎ বিভাগের চুক্তিভিত্তিক চাকুরীস্থায়ীকরনের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও বিক্ষোভ করে
তিস্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতি মেলেনি, ফেনীর পানি পাচ্ছে ভারত

তিস্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতি মেলেনি, ফেনীর পানি পাচ্ছে ভারত

Sharing is caring!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা বহুল আলোচিত তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি মেলেনি। অন্যদিকে ফেনী নদীর ১.৮২ কিউসেক পানি ভারতের ত্রিপুরায় সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে।

শনিবার নয়াদিল্লিতে শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এটি ছাড়াও ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এছাড়া দুই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন তিনটি যৌথ প্রকল্প। এর মধ্যে দুটি বাংলাদেশের খুলনা ও ঢাকায় ভারতের অর্থায়নে নির্মিত; আরেকটি বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় এলপিজি নেওয়ার প্রকল্প।

২০১৭ সালের পর এই প্রথম নয়াদিল্লি সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এটিই প্রথম ভারত সফর।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাধার মুখে অতীতে বেশ কয়েকবার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত তা চূড়ান্ত পরিণতি পায়নি। মমতার আপত্তিতে চুক্তি আটকে যাওয়ার পর থেকেই চুক্তি নিয়ে সমাধানে পৌঁছাতে ভারতের সব অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে বলে বারবার জানিয়ে আসলেও কাজ হয়নি। এজন্য দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো বৈঠকেই এই চুক্তি নিয়ে অগ্রগতির আশা থাকে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের সফরেও তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে কোনো সমঝোতা কিংবা চুক্তি সই হওয়ার আশা থাকলেও তা হয়নি।

শনিবারের এই বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা না হলেও ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি ভারত যেন ত্রিপুরার একটি শহরে সরিয়ে নিতে পারে, সেজন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ২০১১ সালে তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে দুই দেশের সরকার একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির কাঠামোয় একমত হয়েছিল। এই চুক্তির বাস্তবায়ন জানার জন্য বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

জবাবে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিস্তা চুক্তি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পাদন করা যায়; সে লক্ষ্যে বিজেপি সরকার সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে নিরন্তর কাজ করে চলছে। তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের মধ্যে দর কষাকষি হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কেউই। বরং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা তিস্তার বিকল্প হিসেবে অন্য নদীর পানি নিয়ে আলোচনা কিংবা সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যদিও সেসব প্রস্তাবও আলোর মুখ দেখেনি।

দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে তিস্তা ছাড়াও আরও ছয়টি অভিন্ন নদী মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমারের পানি ভাগাভাগির ব্যাপারে শিগগিরই একটি খসড়া কাঠামো প্রস্তুত হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে। এই খসড়া কাঠামো প্রস্তুত করতে যৌথ নদী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশের অনুমতি ছাড়াই কয়েক বছর ধরে ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন করছে ভারত। আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে সীমান্তের জিরো লাইনে পাম্প বসিয়ে নদীটি থেকে পানি উত্তোলন করছে দেশটি। পানি উত্তোলন না করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সেই ফেনী নদীর পানি ভাগাভাগি নিয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির কাঠামো তৈরি করতে যৌথ কমিশনকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। এখন এই ফেনী নদী থেকেই ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নিয়ে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরের জনগণের জন্য সরবরাহে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ।

বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে এটি দিয়েছেন।’ তিনি জানান, দুই প্রধানমন্ত্রী এখন অভিন্ন অপর ছয়টি নদীর পানি বণ্টনের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার সঙ্গে দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী একমত হয়েছেন। চেন্নাইয়ে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশন প্রতিষ্ঠায়ও সায় মিলেছে।

Print Friendly, PDF & Email

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2017
Design By MrHostBD