শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
বরিশাল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোড, ফজলুল হক এভিনিউ, লঞ্চ ঘাট ও চকবাজার এলাকায় ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে শিগগিরিই কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে বরিশাল অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাটরিচালিত রিকশাও বন্ধ করে দেওয়ায় বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এজন্য সিটি করপোরেশন ও পুলিশ প্রশানকে দায়ী করে আন্দোলনমুখী হচ্ছেন এ পেশার সঙ্গে জড়িত ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক।
প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেন চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।
কয়েক হাজার অটোরিকশা শ্রমিকের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বরিশাল নগরীতে অটোরিকশা বন্ধ করা হচ্ছে। রায়ে উল্লেখ আছে, যান্ত্রিক যানবাহন বন্ধ করার। তার মধ্যে পড়ে মহাসড়কে চলাচলকারী স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন-করিমন-ভটভটি ইত্যাদি।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, একটি প্রভাবশালী চক্র নতুন আরেকটি যানবাহন সড়কে নামিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে ইজিবাইক উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করছে। তারা শ্রমিকদের পেটে লাথি দিতে চায়। এরা বেকার হলে নগরীতে চুরি, ডাকাতি বেড়ে যাবে। তাছাড়া এই যান বন্ধ করায় ইতোমধ্যে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে বরিশাল অচল করে দেওয়ার কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মুফতি ফয়জুল করীম।
বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন বলেন, বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এ যানবাহনটি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটি এখন নগরীতে অবৈধ যানবাহন। অবৈধ যানবাহন বন্ধ করার দায়িত্ব মেট্রোপলিটন পুলিশের।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. খায়রুল আলম জানান, পর্যায়ক্রমে পুরো নগরী থেকে এ যানবাহনটি উচ্ছেদ করা হবে।