বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা, সংস্কারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন!

বরিশালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল দশা, সংস্কারের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন!

Sharing is caring!

মো:জিহান ইসলাম রাজিবঃ সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের কিসমত ঠাকুরমল্লিক এলাকায় হতদরিদ্রদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্প। র্দীঘদিন ধরে আশ্রিতরা জরাজীর্ণ এসব ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র। বাধ্য হয়ে যারা বসবাস করছেন তাদের ভোগান্তির শেষ নেই।

নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে নিরুপায় মো. মোতালেব হাওলাদার, শাহেনুর বেগমসহ ১০০টি পরিবার ৬ মাস আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে চলে গেছেন। নিরাপদে বেঁচে থাকার স্বপ্ন নিয়ে শাহেনুর বেগমসহ অনেকে এখানে বসবাস শুরু করেছিলেন। সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ঘরটি এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোনো ঘরের চালা আছে তো বেড়া নেই, আবার বেড়া আছে তো দরজা নেই। চালার টিনগুলো ভাঙা, বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। এখানকার বেশির ভাগ নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। টয়ালেট সমস্যাও প্রকট।

এখানকার বাসিন্দারা নানা সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে তারা ব্যবহার অযোগ্য এসব ঘরে মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছেন। বর্তমানে ৮০টি আশ্রয়হীন পরিবার এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করছেন।

সরেজমিন আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের কাছ থেকে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সন্ধ্যা নদী ঘেঁষে কিসমত ঠাকুরমল্লিক নামক স্থানে হতদরিদ্রের বসবাসের জন্য ৮০টি ঘর নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই স্থানে ২০০১সালে আরো এক শ’টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল অসহায় হতদরিদ্রের জন্য। এ নিয়ে আশ্রিত পরিবারের সংখ্যা ছিল ১৮০টি। এর মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র এমন পরিবারের সংখ্যা এক শ’টি। আশ্রয়ণের জন্য নির্মিত চারটি নলকূপের মধ্যে সচল আছে মাত্র ২টি। প্রতি পাঁচ পরিবারের জন্য বাথরুম আছে একটি, তা-ও আবার ব্যবহারে অযোগ্য।

স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসুবিধা থেকে বঞ্চিত আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দারা। নির্মাণের পর থেকে এ আশ্রয়কেন্দ্রে কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি। যে সব চালা আছে তার টিনগুলো ভাঙা বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসকারী বাবুল হোসেন, মুজাফার পাহলান, মো. লিটন আক্ষেপ করে জানান, নদী ভাঙনে সব কিছু হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে আশ্রয়ণকেন্দ্রে বসবাস করছি। বর্তমানে আশ্রয়ণকেন্দ্রে ঘরগুলোতে থাকার কোনো পরিবেশ নেই। ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসন কখনও তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না।

আশ্রয়ণকেন্দ্রে বতর্মানে বসবাসকারী ৮০টি পরিবারদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, টয়লেট, টিউবওয়েল মেরামত করা না হলে তারাও আশ্রয়ণকেন্দ্র ছেড়ে চলে যাবে। এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একাধিকবার মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি বিধায় শতাধিক হতদরিদ্র পরিবার আবাসস্থল ছেড়ে চলে গেছেন। ভুক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি ভিত্তিতে বসবাস অযোগ্য আশ্রয়ণ প্রকল্প মেরামতের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিত হাওলাদার জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো সরকারি বরাদ্দের দিকে না তাকিয়ে স্থানীয়ভাবে অচিরেই মেরামতের মাধ্যমে আবাসন নিশ্চিত করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD