বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পূর্বাহ্ন
ফরাজী মো.ইমরান (পটুয়াখালী ,কলাপাড়া ) প্রতিনিধি : দীর্ঘ এক যুগ পর ফের পটুয়াখালীর কলাপাড়া নৌ-রুটে ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে দোয়া-মিলাদের মধ্য দিয়ে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে রয়েল ক্রুজ-২ নামের একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আর এ লঞ্চটি এক নজর দেখতে কলাপাড়া লঞ্চঘাটে ভীড় জমিয়েছে কয়েকশ উৎসুক জনতা। এ লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় পর্যটকরা খুব সহজেই কুয়াকাটায় আসতে পারে। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঝামেলা বিহীন তাদের মালামাল পরিবহন করতে পারবে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যোগ করবে এক নতুন মাত্রা।
সংশ্লিষ্ট লঞ্চ ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন ঢাকা থেকে সন্ধা ৬টায় একটি লঞ্চ কলাপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। আবার প্রতিদিন দুপুর ১২টায় কলাপাড়া লঞ্চঘাট থেকে অপর একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। পথে বালিয়াতলী, পায়রা বন্দর, রাঙ্গাবালির কোড়ালিয়া ও ফেলাবুনিয়া ঘাট দিবে। এছাড়া এ নৌ-রুটে সবসময় দুটি লঞ্চ চলাচল করবে বলে জানান ঘাট কর্তৃপক্ষ।
কলাপাড়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন বিপু জানান, অনেক দিন কলাপাড়া-ঢাকা লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ ছিল। আমাদের জাহাজের মাধ্যমে মালামাল পরিবহন করতে হতো। জাহাজে মাল দিলে আসতে তিন থেকে চর দিন সময় লাগতো। এ লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে আমরা প্রতিদিনের মাল প্রতিদিনই আনা-নেয়া করতে পারবো। পর্যটক সোহাগ রহমান জানান, তিনদিন কুয়াকাটায় থাকার পর আজ কলাপাড়া থেকে লঞ্চের মাধ্যেমে স্ব-পরিবারে ঢাকায় যাচ্ছি। এ লঞ্চ সার্ভিস চালু থাকলে পর্যটকরা খুব সহজেই কুয়াকাটায় আসতে পারবে।
ঘাট ইজারাদার তানভীর মুন্সি জানান, দীর্ঘদিন এ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার পর আমরা চেষ্টা করে লঞ্চ সার্ভিস চালু করেছি। সকলের সহযোগিতা পেলে লঞ্চ সার্ভিসটি চালু থাকবে। আর এ লঞ্চ সার্ভিসের মাধ্যমে পর্যটরা নির্বিঘেœ কুয়াকাটায় আসতে পারবে।
পটুয়াখালী বিআইডব্লিটিএ’র সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ার ফলে মানুষের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গছে। পর্যাপ্ত যাত্রী চলাচল করলে এ সার্ভিসটি চালু থাকবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ১২ বছর আগে এ রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু ছিল। এ এলাকার মানুষের ঢাকায় যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ছিল লঞ্চ সার্ভিস। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারনে এ নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দুভোর্গে পরে কলাপাড়াসহ রাঙ্গাবালি এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।