রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের প্রশ্নে, তাদের পক্ষে কারও সাফাই গাওয়ার প্রশ্নই আসে না কলাপাড়ায় জাকির স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সিকদার বাড়ি চ্যাম্পিয়ন কুয়াকাটায় একটি ইলিশ অনলাইনে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি কলাপাড়ায় নিম্নবিত্তদের স্বস্থি দিতে সরাসরি কৃষকদের সবজি বাজার গুজব ছড়ানোর আগে তিনি নিজের ভাই-বোন-পরিবারের কথা চিন্তা করতে বলেছে : স্নিগ্ধ কলাপাড়ায় পৌর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ সভাপতি গোসাই – সম্পাদক বিকাশ।কলাপাড়ায় শ্রীগুরু সঙ্ঘের কমিটি গঠন মহিপুরে নসিমনের নিচে চাপা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু তথ্য পরিচালক মনিরুজ্জামানের মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক কলাপাড়ায় আমন মৌসুমে উফসী জাতের ধানের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরন শীর্ষক মাঠ দিবস সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিন বাহিনী প্রধান বাংলাদেশ প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চায় বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত ঝালকাঠির রাজাপুরে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে মামলা দিতে থানায় গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ কলাপাড়ায় পৌর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সমাবেশ
সেপ্টেম্বরের ছয়দিনেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৪০৪৯ জন

সেপ্টেম্বরের ছয়দিনেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ৪০৪৯ জন

Sharing is caring!

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আশা ছিল মৌসুমের শেষের দিকে এসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমবে। তবে যে হারে কমার আশা ছিল সে হারে কমছে না। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ৬ দিনেই ৪ হাজার ৪৯ জন সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। বর্তমানে ঢাকার চেয়ে বাইরের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ হিসাবের বাইরে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত আরও রোগী রয়েছে বলে জানা গেছে।

কীটতত্ত্ববিদদের মতে, বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার একেবারেই কম থাকে। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না। অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকবে বলে বোঝা যাচ্ছে। তার পর থেকে এর প্রকোপ কমতে পারে।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১৮, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে মাসে ১৯৩, জুনে ১ হাজার ৮৮৪, জুলাইয়ে ১৬ হাজার ২৫৩, আগস্টে ৫২ হাজার ৬৩৬ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে ২০১৯ সালেই সর্বোচ্চ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এরমধ্যে জুলাই মাসে ছিল সর্বোচ্চ।

শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে আরও ৭৯৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৮ টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত) এ সংখ্যা ছিল ৭৮৮ জন। অর্থাৎ এ সময়ে রোগী বেড়েছে ৫ জন।

বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে রাজধানীর ৪১ টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১ হাজার ৭০৪ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছে। ক্রমেই এ সংখ্যা কমে আসছে। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৬৩৩ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে আর নতুন ৩২৫ জন ভর্তি হয়েছে এবং ঢাকার বাইরে  ভর্তি হয়েছে আরও ৪৬৮ জন।

রাজধানীর সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬১, মিটফোর্ডে ৫৭, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪, পুলিশ হাসপাতাল রাজারবাগে ৩, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৯, বিজিবি হাসপাতাল পিলখানা ঢাকায় ১, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ১১, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ৩৪ ও কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে ২ জনসহ সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত হাসপাতালে মোট ২৩৫ জন ভর্তি রয়েছেন। বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছেন ৯০ জন।

ঢাকা ছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০১, চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৯, খুলনায় ১৪১, রংপুরে ৮, রাজশাহীতে ৪৬, বরিশালে ৫৭, সিলেটে ৯ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।

হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ৭৫ হাজার ১৪৬ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নেওয়ার পর বাসায় ফিরেছেন ৭১ হাজার ৬১৭ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের ৯৬ ভাগ রোগীই ছাড়পত্র পেয়েছেন।

এদিকে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) কাছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১৯২জন রোগীর তথ্য এসেছে। এরমধ্যে ৯৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ৫৭টি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে প্রতিদিনই মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে। এ সংখ্যা এখনও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। হাসপাতলে ভর্তি হয়ে মৃত ৫৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে এপ্রিলে ২, জুনে ৫, জুলাইয়ে ২৮ এবং আগস্ট মাসে ২২ জনের মৃত্যু হয়।

তাছাড়া এবার ডেঙ্গুতে শিশুমৃত্যুর হারও সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে আইইডিসিআর সূত্রে। সরকারের এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির মতে, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত মৃত্যুর ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশের বয়সই ১৮ বছরের নিচে। যাদের মধ্যে ১২ জনের বয়স ৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। যা মোট মৃত্যুর ২৩ দশমিক ১ ভাগ।

আইইডিসিআরের বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গুজনিত রোগে মারা যাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে ৩৮ জনের ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম এবং ৬ জনের হেমোরেজিক জ্বর ছিল। ২২ জনের মধ্যে এর আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে ২১ জনের বয়সই ১৮ বছরের নিচে।

এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেবরিনা ফ্লোরা বলেন, আমাদের একটি ‘ডেঙ্গু ডেথ রিভিউ’ কমিটি মূলত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে কারা মারা গিয়েছে তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। এই কমিটিতে দেশের মেডিসিন, পেডিয়াট্রিক্স, ইপিডেমিওলজি ও ল্যাবরেটরি বিশেষজ্ঞরা আছেন। প্রয়োজন হলে আরও বিশেষজ্ঞদের এই কমিটিতে যোগ করা হয়। এ কমিটিই মূলত, সন্দেহজনক ডেঙ্গুজনিত রোগের কারণে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণ করে। পাশাপাশি ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগের গতি-প্রকৃতি, চিকিৎসা ও সংশ্লিষ্ট সব বিশ্লেষণ করে থাকে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD