রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন
ক্রাইমসিন ডেক্সঃ
সোনালী ব্যাংক পিএলসি’র বরিশাল অঞ্চলের জিয়া পরিষদে আওয়ামী ঘরানার নেতাদের পুনরুত্থান ও প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীদের দাবি, বিগত সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে সক্রিয় থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ শাখায় পোস্টিং নেওয়া একাধিক কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর গঠিত জিয়া পরিষদে বিএনপির তকমা ধারণ করে সামনের সারির পদ দখল করে রেখেছেন। জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন মোল্লা পূর্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাহী সদস্য (নং–৫২) ছিলেন। সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাহী সদস্য (নং–৫৭), কায়েসুর রহমান—যিনি বর্তমানে জিয়া পরিষদের সহ- সভাপতি পদে রয়েছেন—পূর্বে বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নং–১৫) ছিলেন। এছাড়া আবু তায়েব (যুগ্ম সম্পাদক, জিয়া পরিষদ) ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক (নং–২৯) এবং মেহেদী আল মিরাজ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক (নং–২০)।
একাধিক সাধারণ কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জিয়া পরিষদের কতিপয় নেতার দাপটে সাধারণ কর্মীরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম সরদার ও ডিজিএম শাহ আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিষদের কিছু নেতার প্রভাব আরও বেড়েছে।
সভাপতি মোঃ আলতাফ হোসেন মোল্লার অফিস অনিয়মিত করার অভিযোগও তোলা হয়েছে।
বলা হয়, তিনি দুপুরে বাসায় গিয়ে খাবার শেষে বিকাল চারটার পর অফিসে ফেরেন। আরও অভিযোগ, অতীতে বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতাদের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে শহরের বিভিন্ন শাখায় দায়িত্ব পালন করলেও সম্প্রতি বরিশাল করপোরেট শাখায় তিন বছর দায়িত্ব শেষে বরিশাল প্রিন্সিপাল অফিস ওয়েস্টে বদলির আদেশ হলে মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সভাপতির ক্ষমতা ব্যবহার করে আবার করপোরেট শাখায় পুনঃপদায়ন নেন।
এছাড়া সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবিএম আনোয়ারুল কবির খান (বঙ্গবন্ধু পরিষদের সদস্য–৫০), সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান, আরিফ মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাইউম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, প্রচার সম্পাদক শাকিল আহম্মেদসহ নেতাদের বিরুদ্ধে লোন বাণিজ্য, বদলি সুপারিশসহ প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে।
পরিষদের আরেক নেতা মোঃ শোয়েব চৌধুরীর প্রভাবেও সাধারণ কর্মীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান হাওলাদার জিয়া পরিষদের ‘এক নম্বর উপদেষ্টা’ হিসেবে ভূমিকা রাখছেন।


তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা পূর্বের কোনো কমিটির বিষয়ে অবগত নন এবং জোরপূর্বক কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিরপেক্ষ তদন্ত ও সাংগঠনিক শুদ্ধতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ কর্মীরা।