শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মো. জাকারিয়া (২২) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
তবে মৃত্যুর পর তার মরদেহ বহনের জন্য সদর হাসপাতালের ট্রলি না পেয়ে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন মৃত্যুের পরিবার।
পরে উপায় আপায় না পেয়ে চাদরে মুড়িয়ে মরদেহ বহন করেন মৃত্যুের পরিবার। গত রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার সময় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থী মারা যান।
এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে তাকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। খোজ নিয়ে জানা যায়, মো,জাকারিয়া পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তিনি দুমকি উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের আঠারোগাছিয়া গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম ও মা হোসনেয়ারা বেগমের একমাত্র ছেলে ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ পটুয়াখালী জেলা শাখার সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
মো,জাকারিয়ার মা হোসনেয়ারা বেগম ছেলে হারিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, টাকার বিনিময় হলেও আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দেন। মারা যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে আমার ছেলেটা বারান্দার বেড থেকে বলছিল, ‘আমারে নিচে নামাইয়া দাও।’
কিছুক্ষণের মধ্যেই সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এদিকে বাবা মো, জাহাঙ্গীর আলম হাসপাতালের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে পটুঃসদর হাসপাতালে ভর্তি করার পর কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
ভালো ডাক্তার পর্যন্ত পাইনি আমরা। নার্সদের কাছে বারবার অনুরোধ করলেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি ডাকে। আমার ছেলে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছে।
মৃত্যুর পর শেষ বারের মতো মরদেহ বহনের জন্য ট্রলি চেয়েছিলাম হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছে সেটিও হাসপাতাল দেয়নি।
এ ব্যপারে সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্সদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি তাই বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ