বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবশেষে ধরা খেল ভূয়া ডাক্তার। দাঁত ও চোখের চিকিৎসক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা চালিয়ে আসা হারুন অর রশীদকে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইয়াসিন সাদেক উপজেলার মহিপুর সদরের এশিয়া ডেন্টাল সেবা কেন্দ্রে এই অভিযান পরিচালনা করে।
পরে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় এক মাসের সাজা ঘোষণা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় বছর ধরে হারুন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগী দেখতেন। ভিজিট বাবদ তিন থেকে পাঁচশ টাকা নিতেন।
অথচ নিজে দাঁতের ডাক্তার না হয়েও ভাইয়ের প্রেসক্রিপশনে চোখের চিকিৎসা দিতেন।
তার ভাই আব্দুল হাকিমও একইভাবে কখনো দাঁতের চিকিৎসক, কখনো চক্ষু বিশেষজ্ঞ সেজে মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মো. ইয়াসিন সাদেক বলেন, “রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় হারুন অর রশীদকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) অনিমেষ হালদার জানান, আদালতের রায় কার্যকর করে দণ্ডপ্রাপ্তকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর চার বছরের শিশু আদনানকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন তার পরিবার।
ডাক্তার আব্দুল হাকিমের কাছে গেলে তাকে না পেয়ে সাইনবোর্ডের দেওয়া নম্বরে কল করলে হাকিম পরিচয়ে কথা বলেন।
পরে তার ভাই হারুন এসে হাকিম সেজে চিকিৎসা দেন। এ ঘটনাই বিভিন্ন পত্রিকায় ও টিভিতে খবর প্রকাশে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পরে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
মোয়াজ্জেম হোসেন
কলাপাড়া